২০২১ সালে চিনে দেশে আইনত বিয়ে করেছেন মোট ৭৬ লক্ষ মানুষ। ছবি- সংগৃহীত
প্রায় সাড়ে তিন দশকের মধ্যে ২০২১ সালে সবচেয়ে কম বিবাহ করেছেন চিনের নাগরিকরা। চিনের নাগরিক বিষয়ক মন্ত্রকের সাম্প্রতিক হিসাব বলছে, ২০২১ সালে সে দেশে আইনত বিয়ে করেছেন মোট ৭৬ লক্ষ মানুষ। ১৯৮৬ সাল থেকে সংখ্যার বিচারে যা সর্বনিম্ন। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য।
২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ এর বিয়ের সংখ্যা কমেছে ৬.১ শতাংশ। এই নিয়ে টানা আট বছর চিনে বিবাহের সংখ্যা কমল আগের বছরের তুলনায়। শুধু বিবাহের সংখ্যা হ্রাসই নয়, বাড়ছে বিবাহের বয়সও। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে যত চিনা নাগরিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, তাঁদের প্রায় অর্ধেকেরই বয়স ৩০ বছরের বেশি। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রথম বার বিয়ে করা চিনা নাগরিকদের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪১ শতাংশ, বলছে চিনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য। বিবাহের সংখ্যা প্রভাব ফেলছে জন্মহারের উপরেও।
দীর্ঘ দিনই চিনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এক সন্তান নীতি চালু ছিল। ২০১৪ সালে তিন দশকে প্রথম বার কর্মক্ষম জনসংখ্যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় হ্রাস পায়। তার পরের বছরই বদল আনা হয় এক সন্তান নীতিতে। চালু হয় দুই সন্তান নীতি। ২০২১ সালে তা বাড়িয়ে তিন সন্তান করা হয়। তবে কেবল নীতিগত কারণেই নয়, বিয়ে না করা বা সন্তানধারণে অনিচ্ছার পিছনে স্বাধীনচেতা মানসিকতা ও পেশাগত কারণ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু চিনই নয়, বিগত কয়েক বছরে একই ভাবে হ্রাস পেয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার। তিন দেশই জন্মহার হ্রাস পাওয়া আটকাতে একাধিক সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy