নীতার বাহুতে শাহজাহানে পাগড়ির কলগি। ছবি: সংগৃহীত।
জামনগরে ছোট পুত্র অনন্ত অম্বানীর সঙ্গে রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠান সদ্য মিটেছে। উদ্যাপনের আড়ম্বর নিয়ে চর্চা চলেছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহলে। গোটা অম্বানী পরিবার তো বটেই, তবে সব কিছু ছাপিয়ে সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন রিল্যায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন এবং মুকেশ অম্বানীর স্ত্রী নীতা অম্বানী। কখনও তাঁর কারুকাজ করা শাড়ি, কখনও তাঁর বহুমূল্য হিরের হার— উঠে এসেছে চর্চায়। সম্প্রতি মুম্বইয়ের জিয়ো ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় দেখা গিয়েছিল নীতাকে। সেখানেও তাঁর উপস্থিতি ছিল চোখ ধাঁধানো। কালো রঙের বেনারসিতে জংলা মিনাকারি কাজ করা শাড়ি পরে পুরষ্কারের মঞ্চ আলো করে রেখেছিলেন তিনি। তবে যে জিনিসটি নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে, তা হল নীতার হাতের বাজুবন্ধ।
নীতার ডান বাহুতে যে গয়নাটি রয়েছে, তা আসলে পঞ্চম মুঘল সম্রাট শাহজাহানের পাগড়ি বা মুকুটে থাকা ‘কলগি’। সোনা দিয়ে বাঁধানো ১৩.৭ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ১৯.৮ সেন্টিমিটার চওড়া ওই কলগিটিতে রয়েছে হিরে, চুনি এবং স্পাইনেলের কাজ। তবে এই প্রথম নয়, কিছু দিন আগে পুত্র অনন্তের প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠানে নীতার হাতে দেখা গিয়েছিল মুঘল আমলের আরও একটি গয়না। ‘মিরর অফ প্যারাডাইজ়’ নামক হিরের একটি আংটি। গোলকোন্ডার হিরে পৃথিবী বিখ্যাত। সেখানকার খনি থেকে উঠে আসা বিখ্যাত কোহিনূরের মতোই এই হিরের আংটি মুঘল আমলের সাক্ষ্য বহন করছে।
অম্বানী বাড়ির বৌয়ের সংগ্রহে পৃথিবীর দুর্মূল্য সব জিনিস থাকবে, তাতে আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছুই নেই। তবে দেশের ইতিহাস জড়িত এমন অমূল্য সম্পদ, যা সাধারণত সংগ্রহশালায় থাকার কথা। তেমন জিনিস নীতা কিনতে পারেন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। আবার, এমনটাও হতে পারে যে মুঘল আমলের গয়নার নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি একেবারে হুবহু তেমন গয়না গড়িয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy