Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Unusual jobs

ইঁদুর মারতে পারলে কোটি টাকা পুরস্কার! মূষিক নিধনে ‘খুনে মানসিকতা’র লোক চেয়ে বিজ্ঞাপন

খুনে মানসিকতার লোক চাইছে নিউ ইয়র্ক প্রশাসন। শত্রু মানুষ নয়, ইঁদুর। সেই ইঁদুর নিধন যজ্ঞে নেতৃত্ব দিতে ‘খুনে মানসিকতা’-র ‘ডিরেক্টর’ খুঁজছে তারা। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

ইঁদুর নিধন যজ্ঞে নেতৃত্ব দিতে ‘খুনে মানসিকতা’-র ‘ডিরেক্টর’ খুঁজছে নিউ ইয়র্ক সিটির প্রশাসন।

ইঁদুর নিধন যজ্ঞে নেতৃত্ব দিতে ‘খুনে মানসিকতা’-র ‘ডিরেক্টর’ খুঁজছে নিউ ইয়র্ক সিটির প্রশাসন। ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৪৬
Share: Save:

শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘাঁটি গেঁড়েছে শত্রুপক্ষ। সামলাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। তাই এ বার খুনে মানসিকতার লোক চাইছে নিউ ইয়র্ক প্রশাসন। শত্রু অবশ্য মানুষ নয়, ইঁদুর। আর সেই ইঁদুর নিধন যজ্ঞে নেতৃত্ব দিতে ‘খুনে মানসিকতা’-র ‘ডিরেক্টর’ খুঁজছে তারা। নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়রের অফিস থেকে এই মর্মে একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শহরব্যাপী ইঁদুর নিধন কর্মকাণ্ডের জন্য এক জন ‘ডিরেক্টর’ চাই। সর্বোচ্চ বেতন বছরে প্রায় ১ লক্ষ সত্তর হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১ কোটি আটত্রিশ লক্ষ টাকারও বেশি। যিনি ওই পদে চাকরি করবেন তাঁকে ইঁদুরের ‘জার’ বা ‘সম্রাট’ বলে ডাকা হবে বলেও দাবি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শহরের ইঁদুরগুলি ‘অত্যন্ত চালাক এবং মারাত্মক পেটুক। নিজেদের রক্ষা করতেও অত্যন্ত দক্ষ।’

নিউ ইয়র্ক শহরে প্রায় ১ কোটি আশি লক্ষের বেশি ইঁদুর রয়েছে।

নিউ ইয়র্ক শহরে প্রায় ১ কোটি আশি লক্ষের বেশি ইঁদুর রয়েছে। —ফাইল চিত্র

নিউ ইয়র্ক সিটির প্রশাসনের হিসাব বলছে, আমেরিকার এই শহরে প্রায় ১ কোটি আশি লক্ষের বেশি ইঁদুর রয়েছে। নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস স্বীকার করে নিয়েছেন বিজ্ঞাপন ও পুরস্কারের কথা। তিনি জানিয়েছেন, যিনি এই কাজ করবেন, তাঁর ইঁদুরের প্রতি কোনও দয়ামায়া থাকলে চলবে না। কারণ মূষিককুলকে নির্মূল করতে খুনে মানসিকতাই চাই। অক্টোবর মাসেও অ্যাডামস সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, শহরকে অপরাধমুক্ত করা যত জরুরি, ইঁদুরমুক্ত করাও ততটাই জরুরি।

অন্য বিষয়গুলি:

Unusual jobs New York City Rats
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE