Mukesh Ambani’s would be Daughter in-law Radhika Merchant’s 5 Best Pre-Wedding Looks dgtl
Anant Ambani-Radhika Merchant Wedding
সব পোশাকের দামই কয়েক লক্ষ টাকা! বিয়ের আগেই কত রূপে দেখা গেল অম্বানী বাড়ির নববধূকে
প্রাক্-বিবাহের উদ্যাপন থেকে বিয়ের নিয়মকানুন— কোন ৫ সাজে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়লেন অম্বানী বাড়ির হবু ছোট বৌ? রইল তার ঝলক।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ১৯:২১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
প্রতীক্ষার অবসান। ১২ জুলাই চার হাত এক হতে চলেছে অনন্ত অম্বানী এবং রাধিকা মার্চেন্টের। বিয়ের আগে হবু বর-কনেকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠান পর্ব চলছে। অম্বানী বাড়ির ছোট ছেলের বিয়ে বলে কথা, আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেননি মুকেশ অম্বানী-নীতা অম্বানী। মাস তিনেক আগেই বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছিল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাগ্দান সেরে রেখেছিলেন অনন্ত এবং রাধিকা। এ বছর ১-৩ মার্চ পর্যন্ত তারিখে জামনগরে বসেছিল অনন্ত-রাধিকার প্রথম প্রাক্-বিবাহের অনুষ্ঠান।
০২১৮
দ্বিতীয় উদ্যাপন হয় বিদেশে। ইটালিতে এক বিলাসবহুল ক্রুজ়ে ভাসতে ভাসতে প্রাক-বিবাহের উদ্যাপনের আয়োজন করেন অম্বানীরা। প্রথম বার প্রাক্-বিবাহ উদ্যাপনে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন দেশ-বিদেশের তারকারা। গোটা বলিউড তো ছিলই। সঙ্গে বিল গেট্স থেকে রিহানা— অতিথি তালিকায় বাদ যায়নি কেউ। দ্বিতীয় উদ্যাপনেও অতিথি তালিকায় ছিলেন নামী মুখেরা। তবু সকলের নজর অবশ্য ছিল হবু কনে রাধিকার দিকেই।
০৩১৮
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁদের নানা ‘লুক’। হবু স্ত্রীর রূপে মুগ্ধ হয়ে একদৃষ্টিতে সে দিকেই তাকিয়ে আছেন অনন্ত। সে ছবিও এসেছে প্রকাশ্যে। বিয়ের জল গায়ে পড়তেই রাধিকা যেন আরও সুন্দরী হয়ে উঠেছেন। কোনও সাজে তাঁকে মনে হয়েছে রূপকথার রাজকন্যা, আবার কোনও বেশে রাধিকা হয়ে উঠেছেন স্বপ্নসুন্দরী। প্রাক্-বিবাহের উদ্যাপন থেকে বিয়ের নিয়মকানুন— কোন ৫ সাজে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়লেন অম্বানী বাড়ির হবু ছোট বৌ? রইল তার ঝলক।
০৪১৮
প্রথম প্রাক্-বিবাহ উদ্যাপনের সময়ে ‘হস্তাক্ষর’ অনুষ্ঠানে রাধিকার সেই সাজে মুগ্ধ না হয়ে উপায় ছিল না। পোশাকশিল্পী তরুণ তাহিলানির নকশা করা কুসুমরঙা লেহঙ্গা-শাড়িতে সেজেছিলেন রাধিকা। সেই বেশে যখন হাজির হয়েছিলেন রাধিকা, সেখানে উপস্থিত সকলের চোখ রাধিকার দিকেই আটকে গিয়েছিল।
০৫১৮
গোটা শাড়িটি হাতে তৈরি। শাড়ি জুড়ে নানা রঙের পাথর বসানো। লাল জরি শাড়ির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছিল। এমন চোখধাঁধানো পোশাকে রাধিকা হয়ে উঠেছিলেন মোহময়ী।
প্রাক্-বিবাহ উদ্যাপনের দ্বিতীয় পর্বে চমক ছিল রাধিকার পোশাক। ইটালির বিলাসবহুল ক্রুজ়ে হওয়া সেই অনুষ্ঠানের সব ছবি প্রকাশ্যে না এলেও, রাধিকা-অনন্তের ফ্রেমবন্দি মুহূর্ত অনেকেই দেখেছেন। সেখানে রাধিকার পোশাকে আলাদা করে নজর কেড়েছে।
০৮১৮
রাধিকা পরেছিলেন সাদা এবং কালোর মিশেলে একটি গাউন। সেই গাউন জুড়ে ছিল অনন্তের লেখা প্রেমপত্র। রাধিকার বয়স যখন ২২, সেই সময়ে প্রথম বার অনন্ত তাঁকে ভালবাসার প্রস্তাব দেন। অনন্তের হাতে লেখা সেই প্রেমপত্র আজও সযত্নে রেখে দিয়েছেন রাধিকা। সেই চিঠিই গাউনে প্রিন্ট করিয়েছেন।
০৯১৮
অফ শোল্ডার গাউনের উপরের ভাগ ছিল কালো, তাতে ছিল চুমকির কারুকাজ করা। গাউনের নীচের ভাগটি ছিল সাদা শিফনের কাপড়ে তৈরি। সাদা ভাগেই অনন্তের হাতে লেখা চিঠি প্রিন্ট করা ছিল। রাধিকার বিশেষ দিনের এই পোশাকটি নকশা করেন লন্ডনের পোশাকশিল্পী রবার্ট উন।
১০১৮
দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে বেশির ভাগ সময়ে নানা বাহারি গাউন পরেছিলেন রাধিকা। তার মধ্যে অন্যতম অনন্তের দেওয়া প্রেমপত্র প্রিন্ট করা গাউন। সেটি ছাড়াও, লাল গাউনে আলাদা করে মন কেড়ে নিয়েছে রাধিকার সাজ।
১১১৮
অনন্তের বুকে মাথা রেখে খোশমেজাজে রাধিকা। এমন এক ছবি ভাইরাল হয়েছিল। সেই ছবিতে বালমিয়ানের লাল গাউনে রাধিকাকে একেবারে আলাদা দেখাচ্ছিল। এই লাল গাউনটির দাম প্রায় ৫ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা।
১২১৮
পোশাক ছিমছাম হলেও মাঝবরাবর গোলাপের আকৃতির ‘বো’টি ছিল বেশ নজরকাড়া। ওই দিন রাধিকাকে সাজিয়েছিলেন শেলিনা নাথানি। লাল ড্রেসের সঙ্গে রাধিকা হাতে পরেছিলেন হিরের চওড়া ব্রেসলেট, গলায় হিরের লকেট আর কানে হিরের দুল।
১৩১৮
প্রাক্-বিবাহ উদ্যাপনের রাধিকার আরও এক সাজ চমকে দিয়েছিল অনেককেই। অম্বানী বাড়ির হবু ছোট বৌ প্রকাশ্যে এসেছিলেন সোনালি এবং সাদা রঙের বডিকন গাউনে। পোশাকশিল্পী গ্রেস লিঙের তৈরি পোশাক পরেছিলেন তিনি।
১৪১৮
খোলামেলা পোশাক এর আগের কোনও অনুষ্ঠানে পরতে দেখা যায়নি রাধিকাকে। তবে এমন রূপেও যে তিনি মোহময়ী, সেটা বুঝিয়ে দেন রাধিকা। কোমরের কাছে এসে পোশাকের সোনালি অংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত সাদা শিফনের কাপড়।
১৫১৮
অনাবৃত গলায় হার না পরলেও, কানে লম্বা দুল পরেছিলেন। সঙ্গে মানানসই মেকআপ। কালো আইশ্যাডোয় ঢাকা চোখে উষ্ণতা মাখানো। অম্বানীদের বাড়ির হবু ছোট বৌয়ের একই অঙ্গে কত রূপ!
১৬১৮
প্রাক্-বিবাহ উদ্যাপন পর্ব শেষ। এ বার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন অনন্ত-রাধিকা। বিয়ের বাকি আর ১২ দিন। তার আগে ঘটা করে হল ‘মামেরু’ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে রাধিকা সাজলেন মণীশ মলহোত্রের নকশা করা লেহঙ্গায়। একেবারে সাবেকি ঘরানায়।
১৭১৮
গাঢ় গোলাপি আর কমলার মিশেলের লেহঙ্গায় ঠাসা কাজ। এক ঝলকে দেখলে মনে হবে যেন মণিমুক্তো খচিত। দোপাট্টা-সহ লেহঙ্গায় ঘন জরির কাজ। এ যেন বিয়ের আগেই বৌয়ের সাজ!
১৮১৮
রাধিকার চুলের সাজও মন কাড়ে। কাঁধ ছাপানো বিনুনি সাজানো গয়নায়। গলায় চওড়া হার, কানে দুল, মাথায় টিকলি। দু’হাতে একগুচ্ছ চুড়ি। দুই ভ্রুর মাঝখানে ছোট্ট টিপ। এ দিনের পর বিয়ের দিন রাধিকার সাজ কেমন হবে, তা নিয়ে কৌতূহল আরও খানিকটা বেড়ে গিয়েছে।