বিগত আট মাসে অনেক বারই প্রকাশ্যে এনেছেন নিজেকে। ছবি- সংগৃহীত
আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোনম কপূর। কপূর পরিবারের নতুন সদস্যা কবে আলো দেখবে পৃথিবীর, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। স্বামী আনন্দ আহুজার সঙ্গে লন্ডনে জীবনের এই বিশেষ পর্বের উদ্যাপন করছেন সোনম। সাদা পরীর মতো পোশাক পরে স্ফীত উদরে হাত রেখে, কখনও আবার কালো পোশাকে মোহময়ী হয়ে মাতৃত্বকালীন ফটোশ্যুটে নিজেকে মেলে ধরেছেন ভাবী মা সোনম কপূর।
তবে সেটাই যে মা়তৃত্বের একমাত্র ছবি নয়, সেটাও মনে করিয়ে দিতে ভুললেন না সোনম কপূর। মা হওয়া মুখের কথা নয়। শরীরে সন্তানের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। শারীরিক এবং মানসিক বদল আসে দু’ক্ষেত্রেই। ব্যতিক্রম নন সোনমও। পরিশ্রম ও যত্নে গড়া রোগা-পাতলা চেহারার সোনম এখন স্থূলকায়। তাঁর এই বাহ্যিক পরির্তন অবশ্য কখনও আড়াল করেননি তিনি। বিগত আট মাসে অনেক বারই প্রকাশ্যে এনেছেন নিজেকে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের ফোলা পায়ের ছবি দিয়ে সোনম লিখেছেন, ‘প্রেগন্যান্সি ইজ নট প্রিটি সাম টাইমস’ অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সবটাই সুন্দর নয়।
গ্ল্যামারাস নায়িকারা যখন তাঁদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আনেন, সেই সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় তাঁদের উপর নজরদারি। কখন তাঁর স্ফীত উদর দেখা যাবে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিনি কেমন পোশাক পরছেন, চেহারায় কতটা জৌলুস দেখা যাচ্ছে, কোথায় তিনি ‘বেবিমুন’এ গেলেন, এমনকি, সন্তানের জন্মের পর কত তা়ড়াতাড়ি তিনি আগের মতো ছিপছিপে শরীর ফিরে পাচ্ছেন, সব কিছুই বন্দি হয় পাপারাৎজির লেন্সে।
কিন্তু আদতে বিষয়টা অতটা গ্ল্যামারাস নয়। সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন সোনম। এর আগেও তিনি বহু বার তাঁর কমবয়সি অনুগামীদের ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে মনে করানোর চেষ্টা করেছেন যে, মেক আপের পিছনে কতটা সময় ব্যয় করতে হয়। কেউ ঘুম থেকে উঠেই টিপটপ চেহারার অপরূপা হয়ে উঠতে পারেন না। তার পিছনে যথেষ্ট সময় ও পরিশ্রম প্রয়োজন। সে বারও সোনমের এই বাস্তবের কাছাকাছি পরামর্শ প্রশংসা কুড়িয়েছিল নেটমাধ্যমে। এ বারও তাঁর ‘সাহসী’ ইনস্টা স্টোরি দেখে মুগ্ধ অনুগামীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy