অফিসে কিছু ভুল এড়িয়ে চলুন। ছবি: সংগৃহীত।
অফিস মানেই দায়িত্ব, একগাদা কাজ, পর পর মিটিং, বসে্র বকাঝকা। তবে কাজ করতে গিয়ে দু-একটা ভুল হয়েই থাকে। অনেক সময় সে ভুল শুধরে নেওয়ার সময় এবং সুযোগ দুই-ই থাকে, কিন্তু কাজের বাইরে অফিসে অজান্তেই এমন কিছু ভুল হয়ে যায়, যা পরে আর সামাল দেওয়ার সুযোগ থাকে না। এর ফলে কাজের উপর প্রভাব তো পড়েই। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক সমস্যা ঘনিয়ে আসে। কোন বিষয়গুলি নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি?
সহকর্মীকে অন্ধ বিশ্বাস
মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। তাই বলে কয়েক দিনের পরিচিত সহকর্মীকে অন্ধ বিশ্বাস করাও বোকামি। মানুষ চেনা সহজ নয়। কার মনে কী চলছে, তা বাইরে থেকে বোঝা অসম্ভব। তাই ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া অফিসের সহকর্মীদের ব্যক্তিগত পরিসরে টেনে না আনাই শ্রেয়। পেশাদার সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি।
ব্যক্তিগত জীবনের কথা জানানো
জীবনে কী চলছে, অফিসের সহকর্মীকে তা জানানো উচিত হবে কি না, সেটা নিজেকেই প্রশ্ন করে দেখুন। উত্তর যদি না হয়, তা হলে বুঝে যাবেন ঠিক পথেই যাচ্ছেন। সহকর্মী যতই কাছের মানুষ হোক, ব্যক্তিগত টানাপড়েন নিয়ে কথা না বলাই ভাল।
সমালোচনা
কাজের ফাঁকে বন্ধু হয়ে ওঠা সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে অফিসের অন্য কর্মীদের নিয়ে নানা আলোচনা করেন? এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। প্রথমত, দেওয়ালেরও কান আছে। বিষয়টি কারও কানে গেলে তাঁর একটা বিরূপ মনোভাব তৈরি হবে। তা ছাড়া এতে সময় এবং মনোযোগ অনেকটাই নষ্ট হয়।
অন্যকে দোষ দেওয়া
কথায় আছে, দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। সহকর্মী যদি ভুল করেও বসেন, সকলের সামনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক নয়। তাতে তাঁকে অসম্মান করা হয়। দরকার হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিন।
বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়া
জীবনে কখনও অফিসে এই ভুলটি না হলেই সবচেয়ে ভাল। সহকর্মী কিংবা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতান্তর, মতবিরোধ থাকবেই। মতের সঙ্গে মিলল না মানেই, বিতণ্ডায় লিপ্ত হলেন, এমন না করাই উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy