গুপ্ত নজরদারদের হাত থেকে বাঁচবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই অভিযোগ করেন, নেটমাধ্যমে তাঁদের গতিবিধির উপর অন্য কেউ নজর রাখছেন। ব্যক্তিগত জীবনের যতটুকু তাঁরা নেটমাধ্যমে প্রকাশ করেন, সব যেন কী ভাবে পৌঁছে যাচ্ছে অন্য কারও হাতে।
অনেকের নেটমাধ্যমের পাতা এমন গুপ্ত নজরদারদের পাল্লায় পড়ে। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘স্টকিং’। বাংলায় বললে, লুকিয়ে দেখা। যাঁরা এই ধরনের কাজ করেন, বা যাঁদের ‘স্টকার’ বলা হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগও রয়েছে। কিন্তু নিজেও কিছুটাও সাবধান হওয়া যায়। তাতে কমতে পারে এই ধরনের উটকো ঝামেলা।
কী করবেন ‘স্টকিং’-এর হাত থেকে বাঁচতে? জেনে নিন।
• নেটমাধ্যমের প্রোফাইল লক রাখুন। বন্ধু তালিকায় না থাকা কেউ যেন আপনার প্রোফাইল দেখতে না পান।
• নেটমাধ্যমে বন্ধুতালিকায় এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের আপনি চেনেন না। সন্দেহজনক এমন কাউকে দেখলে বাদ দিন।
• নেটমাধ্যমে ‘স্টোরি’ করেন? তা হলে এমন ব্যবস্থা করুন, তা যেন শুধু বিশেষ কয়েক জনই দেখতে পান। যাঁদের নিরাপদ বলে মনে করেন, তাঁদেরই রাখুন স্টোরি-র দর্শকের তালিকায়।
• আপনার কাছের কোনও মানুষের ছবি নেটমাধ্যমে দেওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে ভাল করে কথা বলে নিন। আপনার গতিবিধি নজরদারিতে থাকলে, কাছের মানুষটিও সেই ‘স্টকার’-এর নজরদারিতে চলে আসতে পারেন। এ কথা তাঁকে জানিয়ে রাখুন।
• হোয়াটসঅ্যাপে আপনার ডিপি-টিও যেন সবাই দেখতে না পান। একমাত্র যাঁদের নম্বর আপনার ফোনে সেভ করা আছে, শুধু যেন তাঁরাই দেখতে পান— এমন ব্যবস্থা করে রাখুন।
• যাঁদের সন্দেহজনক বলে মনে হয়, হোয়াটসঅ্যাপে তাঁদের ব্লক করে রাখুন।
এত কিছুর পরেও যদি মনে হয়, নজরদারির মাত্রা কমছে না, আভাস পাচ্ছেন কেউ আপনার ক্ষতি করতে চলেছে— তা হলে দ্রুত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাঁদের বিষয়টি জানান। আইনের সাহায্য বিষয়টি কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy