Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Time Management Tips

ব্যক্তি জীবন, কর্মক্ষেত্রে ভারসাম্য রাখতে গিয়ে নাকানি-চোবানি খাচ্ছেন! কোন পথে সমাধান?

কাজ করেও শেষ হচ্ছে না! সময় নিয়ে টানাটানি? তা হলে বরং সময়ের কাজ কী ভাবে সময়ে করা যায়, তা জেনে নিন।

সময়ের কাজ কী ভাবে সময়ে করা যায়  জেনে নিন টোটকা।

সময়ের কাজ কী ভাবে সময়ে করা যায় জেনে নিন টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ১৮:৫০
Share: Save:

চোখ খোলা থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া, দিনরাত যেন চড়কিপাক খাওয়ার দশা। এক মিনিট বসার ফুরসৎ নেই। কিন্তু দিনরাত খাটাখাটনির পরেও কাঙ্খিত ফল মেলে কই! হয় এই কাজ বাদ যাচ্ছে, নয়তো অফিসের কাজ নিয়ে বাড়িতে আসতে হচ্ছে। সময়ের টানাটানিতে খাওয়া-ঘুমের সময়, সবই মাথায় ওঠার জোগাড়!

এমন জীবনযাত্রা বহু মানুষেরই। অনেকেরই মনে হয়, দিন ২৪ ঘণ্টার বদলে কয়েক ঘণ্টা বেড়ে গেলে হয়তো সুবিধা হত! কিন্তু তেমনটা তো হবে না, তাই সময়ের কাজ সময়ে মধ্যেই করতে হবে। জীবনে ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?

কাজের সময় নির্ধারণ

কাজের জন্য কতটা সময় নির্ধারণ করা হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও কাজ ধীরে সু্স্থে শেষ করার জন্য ২ ঘণ্টা ধার্য করলেন, সেই কাজ কিন্তু তার আগে কিছুতেই শেষ হবে না। কিন্তু যদি লক্ষ্য নির্ধারণ করেন কাজটি দেড় ঘণ্টাতেই শেষ করতে হবে, তাহলে সেই মতো পরিশ্রমও করবেন। সেক্ষেত্রে কাজটি আধ ঘণ্টা আগেই শেষ করে ফেলতে পারবেন। এই আধ ঘণ্টা সময় নিজের বিশ্রাম বা অন্য কাজে দিতে পারবেন।

কঠিন কাজ আগে

পরীক্ষায় সাধারণত সহজ প্রশ্ন আগে লিখে, কঠিন প্রশ্ন পরে লেখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে প্রথমেই যখন মস্তিষ্ক তরতাজা থাকে, তখন কঠিন কাজটা সেরে নেওয়া দরকার। বড় কাজ হয়ে গেলেই মাথা হালকা লাগে, আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়। পরের অপেক্ষাকৃত সহজ কাজগুলি করা সহজ হয়ে যায়।

কাজে নজরদারি

নিজের কাজে নিজেকেই নজরদারি চালাতে হবে। ঘুম থেকে ওঠা থেকে নিজস্ব কাজ, ঘরের কাজ, অফিসের কাজ, নিজের জন্য সময় কোন খাতে কতক্ষণ দিচ্ছেন, ঘড়ি ধরে মেপে নিন। কাগজে লিখে রাখুন কয়েকদিন। তাহলেই ধারণা করা যাবে কোন কাজে কত সময় লাগছে। এরপর নির্বাচন করতে হবে, কোনও সময় কমানো বা বাড়ানো যায় কি না। এভাবেও ব্যক্তি জীবন ও কর্ম জীবনে ভারসাম্য আনা সম্ভব।

কোনও কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময়

সারা দিনে রকমারি কাজ থাকে। সেই সমস্ত কাজ করতে করতে দিন এগোয়। কিন্তু এক্ষেত্রেও কিছু বদল আনা যায়। যেমন ধরুন ই-মেল দেখা। দিনভর ই-মেল না দেখে, একটা সময় নির্দিষ্ট করতে পারেন। দিনের মধ্যে তা দু’বার কি তিন বার হতে পারে। এতে একসঙ্গে ই-মেল দেখে সমস্ত উত্তর একেবারে দেওয়া যায়। এ ভাবে কাজ করলেও সুবিধা হতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Time Management Health Office work Time Workplace
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy