হাঁচতে গিয়ে বিপত্তি। ছবি:সংগৃহীত।
নাকের ছিদ্র আটকে হাঁচি চেপে রেখেছিলেন। কিন্তু তার মূল্য যে এ ভাবে দিতে হবে, তা বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেননি আমেরিকার বাসিন্দা বছর ৩৪-এর এক যুবক। গুরুতর অসুস্থ ওবস্থায় তাঁকে ভর্তি করাতে হল হাসপাতালে। অন্যের অসুবিধার কথা ভেবে অনেকেই হাঁচি পেলেও তা আটকে রাখেন। হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোনও মিটিং চলছে, এমন সময়ে হাঁচলে সমস্যা হতে পারে ভেবেও হাঁচি আটকে রাখেন কেউ কেউ। নাকের ছিদ্রমুখ চেপে ধরে কিন্তু হাঁচি চেপে রাখার যে কী ফল হতে পারে, সাম্প্রতিক এই ঘটনা তার উদাহরণ।
ওই যুবক সম্প্রতি দোকানে কেনাকাটি করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই হঠাৎ হাঁচি পায় তাঁর। কিন্তু আশপাশে লোকজন থাকায় হাত দিয়ে নাকের ছিদ্র আটকে হাঁচি চেপে রাখেন। তার পর থেকেই গলায় অসহ্য ব্যথা শুরু হয়। ঢোক গিলতে পারছিলেন না। দু’দিন ধরে এই অবস্থায় কোনও মতে কাটানোর পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করতেই ধরা পড়ে সমস্যা। দেখা যায়, তাঁর গলার পেশিগুলি ফুলে গিয়েছে। সেই মুহূর্তে চিকিৎসা শুরু না করলে তা যে কোনও সময় ফেটে যেতে পারত। প্রাণহানিরও ঝুঁকি ছিল। তবে ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তিনি বেঁচে গিয়েছেন।
হাঁচি চেপে রাখার কারণেই এমন হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। মূলত এক্স রে পদ্ধতির মাধ্যমেই এই ছিদ্র শনাক্ত করা গিয়েছে। এতে ঘাড়ের নরম টিস্যুগুলিও ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল। যুবক কোনও কিছুই খেতে পারছিলেন না। তাই তাঁকে ‘ন্যাসোগ্যাস্ট্রিক টিউব’ দিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল। নাকের ছিদ্র চেপে রাখলে বায়ু নাসারন্ধ্র দিয়ে বাইরে বেরোতে পারে না। ফলে ভিতরে থেকে যায় বাতাস। সেই বায়ুর চাপে ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে যেতে থাকে নানা পেশি। দীর্ঘ ক্ষণ এই অবস্থায় থাকলে মৃত্যুর ঝুঁকি ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy