বাড়ি থেকে আট ঘণ্টা বাসযাত্রা পেরিয়ে এখানে এসে পৌঁছেছেন। প্রতীকী ছবি।
প্রথম বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা সকলের কাছে চমকপ্রদ না-ও হতে পারে। সম্প্রতি অমিতাভ শাহ নামে এক ব্যক্তি তেমনই একটি ঘটনার কথা ভাগ করে নিলেন লিঙ্কডিনের পাতায়। দিল্লি থেকে কানপুর যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। বিমান ধরার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছতেই তিনি দেখতে পান বয়স্ক এক দম্পতি এক কোণে কাঁচুমাচু মুখ করে বসে আছেন। তাঁদের অভিব্যক্তি বলে দিচ্ছে, এই প্রথম বিমানে চড়বেন। বিমানবন্দরের পরিবেশের সঙ্গে একেবারেই অভ্যস্ত নন তাঁরা। বোর্ডিং এলাকায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিমানবন্দরের কর্মীদের বলা ইংরেজি ভাষাও তাঁরা বুঝতে পারছেন না। সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই অমিতাভ ওই দম্পতির দিকে এগিয়ে যান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, তাঁদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রামে। বাড়ি থেকে আট ঘণ্টা বাসযাত্রা পেরিয়ে এখানে এসে পৌঁছেছেন। কানপুরে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছেন। মেয়ে-জামাই বিমানের টিকিট কেটে দিয়েছেন। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে বাবা-মাকে নিতে আসতে পারেননি। তাতেই সমস্যায় পড়েছেন দম্পতি।
ওই দম্পতি অমিতাভকে প্রথমে বিমানবন্দরের একজন কর্মী ভেবেছিলেন। পরে অবশ্য ভুল ভাঙতেই তাঁরা অমিতাভের কাছে একটি ছবি তুলে দেওয়ার আবদার জানান। মেয়েকে সেই ছবি পাঠিয়ে জানাতে চান যে, তাঁরা দু’জনেই ঠিকঠাক আছেন। অমিতাভ দম্পতির অনুরোধ রাখেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই বিমানে ওঠেন অমিতাভ। টিকিট দেখে জায়গা খুঁজে বসিয়েও দেন। কিছু ক্ষণ পর বিমানসেবিকারা খাবারের বরাত নিতে আসেন। কিন্তু কী খাবেন সেটা বুঝতে পারছিলেনে না। সাহায্য করতে আবারও এগিয়ে আসেন অমিতাভ। ওই দম্পতি নিরামিষ খান জেনে পনির স্যান্ডউইচ আর কমলালেবুর রস অর্ডার করেন। এমনকি খাবারের দামও মেটান অমিতাভই। বিমান কানপুরে পৌঁছলে ওই দম্পতিকে তাঁদের মেয়ে-জামাইয়ের হাতে তুলেও দিয়ে আসেন।
অমিতাভের এই মানবিক মনের সন্ধান পেয়ে অনেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আবার কেউ বিরূপ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘‘কাউকে সাহায্য করে এত বর্ণনা করার কোনও মানে নেই।’’ অমিতাভ অবশ্য তার জবাব দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন,‘‘কারও জন্য কিছু করে তা জাহির করা আমার উদ্দেশ্য নয়। সাহায্য করার সুযোগ সব সময় পাওয়া যায় না। এই কাজটা করতে পেরে আমার খুব আনন্দ হয়েছে। সেই অনুভূতিটাই শুধু ভাগ করে নিয়েছি।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy