কিছু রোগী অনেক দিন আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে হাল্কা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাঁদের নিয়েইচলছে গবেষণা। ফাইল চিত্র
করোনা থেকে সেরে ওঠার তিন মাস পরেও সংক্রমণের জের টের পাওয়া যাচ্ছে রোগীর শরীরে। ব্রিটেনের গবেষকেরা সম্প্রতি এমনই তথ্য জানিয়েছেন।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার তিন মাস অথবা তারও বেশি সময় পরে দেখা দিচ্ছে ফুসফুসে সমক্রমণের প্রভাব। সাধারণ সিটি স্ক্যান বা ডাক্তারি পরীক্ষায় সে সব ক্ষতি হয়তো নজরে পড়ছে না। ফলে সে সব রোগীকে বলা হচ্ছে, তাঁরা সুস্থ আছেন। কিন্তু ব্রিটেনের একদল গবেষক এক অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। নাম ইমেজিং।
এমন কিছু রোগী আছেন, যাঁরা অনেক দিন আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে হাল্কা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ইমেজিংয়ের পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ফুসফুসে এখনও সংক্রমণের ছাপ রয়েছে।
বিলেতের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন ‘রেডিয়োলজি’ নামক এক বিখ্যাত জার্নালে। সেখানে তাঁরা জানিয়েছেন, এ রকম অনেকে আছেন, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরে তাঁদের সব পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক এসেছে। অথচ তিন মাস বা পাঁচ মাস পরেও হাঁপ ধরার সমস্যা থেকে যাচ্ছে অল্পবিস্তর। তেমন মানুষদের ক্ষেত্রে এক উন্নত ধরনের এমআরআই করে দেখেছেন তাঁরা। তাতে স্পষ্ট ধরা পড়ছে সংক্রমণের প্রভাব। কারও কারও ফুসফুসে এমন ক্ষতি হয়ে রয়েছে যে, ঠিক ভাবে অক্সিজেন পৌঁছচ্ছে না রক্তে। তার জেরেই শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে কোভিড থেকে সেরে ওঠার তিন মাস পরেও।
ওই বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। যে সব রোগী সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেনএক সময়ে, শুধু তাঁদের পরীক্ষা করে হয়েছে গবেষণা। এর পরে ধীরে ধীরে দেখা হবে, যাঁরা হাসপাতালে যাননি, তাঁদের ফুসফুসের অবস্থাও। সবটা দেখা হলে তবে বোঝা যাবে ফুসফুসের ঠিক কতটা ক্ষতি করছে করোনাভাইরাস। তার উপরে ভিত্তি করে আগামী দিনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy