নিখুঁত তুলির টান। সব জায়গায় সমান রং। ফাঁকফোকর দিয়ে ত্বকের দেখা মিলছে না। লিপস্টিক মাখা ঝাঁ চকচকে সাজ নিয়ে বেরোলেন কাজের উদ্দেশে। অফিস পৌঁছে প্রথম চায়ের প্রথম চুমুকেই অর্ধেক রং ছিনিয়ে নিল কাপ। তার পর সময়ে সময়ে খাওয়া। দিনের শেষে সব রংই অজান্তে আপনার পেটে গিয়ে পৌঁছল। কেউ কেউ বার বার লিপস্টিক পরতে পরতে ক্লান্ত, কেউ বা হালই ছেড়ে দেন।
এ দিকে আপনার সহকর্মীর সাজে কোনও বদলই নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টাচ-আপ না করলেও নিজের জায়গা থেকে বিচ্যুতি ঘটে না লিপস্টিকের।
আরও পড়ুন:
কী তাঁর রহস্য? আপনারই বা ভুল হচ্ছে কোথায়?
উত্তর পেতে গেলে উৎসে পৌঁছে যেতে হবে। লিপস্টিক কী দিয়ে তৈরি হয়, সেটি জানতে হবে।
১, ওয়াক্স, যা লিপস্টিকের কাঠামো এবং টেক্সচার তৈরিতে সহায়তা করে। স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে ওয়াক্সের ভূমিকা রয়েছে।
২. তেল, যা লিপস্টিককে নরম এবং মসৃণ করে তোলে।
৩. পিগমেন্ট, এটি লিপস্টিকের রং তৈরি করে। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম রঙের উপাদান ব্যবহার করা হয়।
৪. বাটার, তা সে শিয়া হোক বা কোকো, ত্বককে নরম করতে ও পুষ্টির প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।
৫. এমোলিয়েন্ট, এগুলিও লিপস্টিককে মসৃণ এবং নরম করতে সাহায্য করে। ফেটে যাওয়া বা শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে ঠোঁটকে।
৬. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন-ই বা ভিটামিন-সি লিপস্টিকের স্থায়িত্ব বাড়ায় এবং ত্বকের জন্যও উপকারী।
৭. স্বাদ-গন্ধ, অনেক ক্ষেত্রে লিপস্টিকে সুগন্ধ বা স্বাদ যোগ করা হয় কৃত্রিম ভাবে।

কারও ঠোঁট একটু বেশি পিচ্ছিল, তাই লিপস্টিক ভাল ভাবে সেট হতে পারে না
কিন্তু সব ধরনের লিপস্টিকে সমান পরিমাণে এই উপাদানগুলি মেশানো হয় না। লিপস্টিকের স্থায়িত্ব ভিন্ন হয় মূলত এই কারণেই। লিপস্টিকের উপাদানই প্রধান ভূমিকা পালন করে। ফর্মুলার কারণে ম্যাট লিপস্টিক বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়। অন্য দিকে, চকচকে বা ক্রিমি লিপস্টিকের ফর্মুলায় বেশি তেল থাকে, যা ঠোঁট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি।
তবে আরও একটি বড় কারণ রয়েছে, যার জন্য আপনার লিপস্টিক তাড়াতাড়ি মুছে যায়, তা হল পরার ভুল। আপনার কি ঠোঁট ফাটার ধাত রয়েছে? আর তাই লিপস্টিক পরার আগে ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজ়ার বা লিপ বাম ব্যবহার করেন? তা হলে লিপস্টিক ভাল ভাবে ঠোঁটে বসতে পারে না বলেই বার বার মুছে যায়। বরং লিপস্টিক লাগানোর আগে যদি প্রাইমার ব্যবহার করেন বা ঠোঁটে পাউডার ট্যাপ করেন, তবে এর স্থায়িত্ব আরও বাড়ানো যেতে পারে।
এ ছাড়াও, কারও কারও ঠোঁট একটু বেশি পিচ্ছিল হয়, তাই লিপস্টিক ভাল ভাবে সেট হতে পারে না।
তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে লিপস্টিকের ব্র্যান্ড ও মানের। কিছু ব্র্যান্ড তাদের লিপস্টিকের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা লিপস্টিকের স্থায়িত্ব বাড়াতে পারে। অন্য দিকে কয়েকটি ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ভাল উপাদান ব্যবহার করে না বলে দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
lipstick (lead): বার বার লিপস্টিক পরতে পরতে ক্লান্ত?
Inside: