Advertisement
E-Paper

ভোর সাড়ে ৫টায় ওঠেন, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের মতো কী ভাবে ব্যস্ত দিন সামাল দেবেন?

তারকাদের প্রাত্যহিকী নিয়ে অনুরাগীদের কৌতূহল কম নয়। অনেকেই ভাবেন, অভিনেত্রীরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। কিন্তু কী ভাবে দিন যাপন করেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্যা?

ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের দিন শুরু হয় কী ভাবে?

ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের দিন শুরু হয় কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২০
Share
Save

বহু দিন হল রুপোলি পর্দায় দেখা যায়নি তাঁকে। তা বলে ব্যস্ততা কমেনি তাঁর। সংসার-সন্তান আছে। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী বলে কথা! পেশাগত কাজও কম নয়। মাঝেমধ্যেই কর্মসূত্রে বিদেশ যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে ক্যামেরাবন্দি হন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন।

কী ভাবে দিন শুরু হয় তাঁর, সারা দিনে কী করেন ঐশ্বর্যা? তাঁর দিন শুরুর মন্ত্র কী? কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে এমনই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।

ঐশ্বর্যা জানিয়েছিলেন, প্রতি দিন একই ভাবে কাটে না। তবে ৩৬৫ দিনে তাঁর ঘুম থেকে ওঠার রুটিনে বদল হয় না। ভোর সাড়ে ৫টায় উঠে পড়েন তিনি। তার পরই শুরু হয়ে যায় ব্যস্ততা।

তারকাদের প্রাত্যহিকী নিয়ে অনুরাগীদের কৌতূহল কম নয়। অনেকেই ভাবেন, অভিনেত্রীরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। শুটিংয়ের ব্যস্ততা থাকলেও সাংসারিক দায়দায়িত্ব কি তাঁদের থাকে? তবে সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্যা জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টার কাজ তাঁকে ২৪ ঘণ্টায় করতে হয়। প্রতিটি সকালে কাজকর্ম আলাদা হলেও, রোজ সাড়ে ৫টায় ওঠার রুটিনে কোনও বদল হয় না।

ঐশ্বর্যা একজন মা-ও। মেয়ে আরাধ্যাকে প্রায়ই তাঁর সঙ্গে দেখা যায়। অভিনেত্রী বলছেন, ‘‘মহিলাদের এক হাতে বহু কাজ সামলাতে হয়। সারা দিনে নানা রকম ভূমিকা পালন করতে হয়। সব সময়েই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে দিন শুরু করার চেষ্টা করি আমি।’’

ঐশ্বর্যা মনে করেন হাজারও ব্যস্ততা, কাজ কে কী ভাবে সামাল দেবেন, সেটা তাঁর নিজস্ব বিষয়। অভিনেত্রীর মতো ব্যস্ত জীবন অনেকেরই। সংসার, সন্তান সামলে বহু মহিলাকেই পেশা সামাল দিতে হয়।

ব্যস্ততার মধ্যেও সুষ্ঠু ভাবে কাজ সম্পাদনের কোন কৌশল কাজে আসতে পারে?

ভূমিকা, কাজের গুরুত্ব: কোন কোন কাজ করতে হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করা দরকার। সেই মতো দিন এবং সাপ্তাহিক লক্ষ্য স্থির করতে পারেন। এক জন মানুষের একাধিক ভূমিকা থাকে। তিনি কারও সন্তান, কারও স্ত্রী বা স্বামী, সন্তানের অভিভাবক। প্রত্যেকের প্রতি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দিনের শেষে নিজের জন্যও সময় রাখা জরুরি। নিজের সুবিধামতো রুটিন করে নিতে পারেন।

অগ্রাধিকার: দিনভর হাজারো কাজ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অগ্রাধিকার অনুযায়ী তার তালিকা তৈরি করা দরকার। কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া যায় কি না, তা-ও দেখতে পারেন। এতেও কাজের সুবিধা হতে পারে।

কাজের সময়সীমা: বাড়ির হোক বা অফিসের, কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করলে সময়ে কাজ করার ব্যাপারে তুলনামূলক সুবিধা হতে পারে। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার বাস্তব লক্ষ্যমাত্রা থাকা দরকার।

মনোবিদদের অনেকেরই মত, যখন যে কাজ করছেন, সেটি মনোযোগ সহকারে করা দরকার। পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল সরকারের পরামর্শ, অফিস সেরে একজন মা যখন সন্তানকে পড়াতে বসাবেন বা তাকে সময় দেবেন, সেই সময় রান্না করা বা নিজের অন্য কাজগুলি সরিয়ে রাখাই ভাল।

Aishwarya Rai Bachchan Workplace Tips

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}