Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
water

শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে না তো? শীতে বুঝে যান এই ক’টা লক্ষণেই

তেষ্টা পাচ্ছে না বলেই যে জলের ঘাটতি হচ্ছে না এমনটা ভাবা কিন্তু ভুল। কোন কোন উপসর্গে বুঝবেন, শরীর জল চাইছে?

শারীরিক জটিলতা জলের ঘাটতিতে আরও চেপে বসে। ছবি: শাটারস্টক।

শারীরিক জটিলতা জলের ঘাটতিতে আরও চেপে বসে। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৪৩
Share: Save:

শীতে জল খাওয়ার পরিমাণ এমনিই কমে যায়। যেহেতু ঘাম হয়ে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শীতে কিছুটা বন্ধ থাকে, তাই জল খাওযার তাগিদও কমতে থাকে এই সময়। তবে শরীর কিন্তু গরমে কাজ করতে যতটা জল কাজে লাগায়, শীতেও জৈবিক কাজ সারতে ততটাই জলের ব্যবহার করে। মুশকিল হয়, জলের অভাবটা শীতে টের পাওয়ার উপায় থাকে না বলে।

মানবদেহের ৭৫ ভাগই জল দিয়ে তৈরি। খাবার ছাড়া কয়েক দিন কাটাতে পারলেও জল বিনা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রভূত। শারীরিক জটিলতা কিন্তু তাই জলের ঘাটতিতে থেমে থাকে না। একটু খেয়াল রাখলে আর নিয়মানুবর্তী হলে শীতেও জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারেন।

এমনিতেই শরীর শুধু জলকে জমিয়ে রাখতে পারে না। শারীরবৃত্তীয় কাজে দরকারি জলের অভাব হলে সে বাধ্য হয় নুনের সঙ্গে জলের জোট বাঁধিয়ে জমিয়ে রাখে শরীরে। এতেও কিছুটা ফোলাভাব আসে শরীরে। জল কেন খান না, তার সহজ উত্তর তেষ্টা পায় না হতেই পারে। কিন্তু তেষ্টা পাচ্ছে না বলেই যে জলের ঘাটতি হচ্ছে না এমনটা ভাবা কিন্তু ভুল। কোন কোন উপসর্গে বুঝবেন, শরীর জল চাইছে?

আরও পড়ুন: ব্যায়ামে ওজন কমবে ঠিকই, কিন্তু কখন শরীরচর্চা করলে লাভ বেশি?

কোনও অসুখ ছাড়াও মাথা যন্ত্রণা ও সহজে ক্লান্তি: শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে একপ্রকারের মাথা যন্ত্রণা দেখা দেয়। এমনিতে মাইগ্রেন বা চোখের কোনও সমস্যা না থাকলেও হঠাৎই মাথা ধরলে বুঝবেন ‘ওয়াটার থেরাপি’ দরকার। শরীরে অল্পেই ঝুপ করে নেমে আসা ক্লান্তিও জানান দেয়, জলের অভাব ঘটছে। অনেকটা শ্রমের কাজ বা গা-ঘামানো কোনও কাজে ব্যস্ত থাকলে ফাঁকে ফাঁকে একটু বিরাম নিয়ে জল খেলে দেখবেন, সহজে ক্লান্ত হচ্ছেন না।

অল্পেই অসুস্থ: শীতে কথায় কথায় অসুস্থ হলে শুধু ওষুধপত্রেই ভরসা রাখবেন না। তার সঙ্গে চেষ্টা করুন জলের পরিমাণও বাড়াতে। শরীরের টক্সিন ও ব্যাকটিরিয়াকে শরীর থেকে বার করে দেয় জল। কম জল খেলে সে সব ভাল করে বেরতে পারে না। ফলে শরীর দুর্বল হতে থাকে। সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন বাইরের ভাইরাসে।

মূত্রের সময় জ্বালা: মূত্রের মাধ্যমে শরীরের অনেকটা টক্সিন বেরিয়ে যায়। কিন্তু জল কম খেতে থাকলে শরীর তার পর্যাপ্ত টক্সিন বয়ে নিয়ে যাওয়ার উপকরণ পায় না। তাই মূত্র কম তো হয়ই, সঙ্গে তাতে জ্বালাভাবও থাকে। জল বেশি করে খেয়েও যদি এই সমস্যা না কমে, তা হলে অবশ্যই ইউরোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

আরও পড়ুন: এক চিমটে হলুদই দূর করবে এত সমস্যা! আগে জানতেন?

শীতেও বাড়ান জল খাওয়ার পরিমাণ।

কোষ্ঠকাঠিন্য: জল কম খেলে শরীর একটা বিষয়ই বোঝে— নিজের জৈবিক কাজগুলো সারতে যেনতেন ভাবে জলের জোগানটি রাখা। তাই জল কম খেলে কোলন বর্জ্য জমা করার সময় মল থেকেও জলটুকু শুষে নেবে। ফলে মল কঠিন হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।

খিদের আধিক্য: যেহেতু জল আর খিদে জানান কেন্দ্রগুলি শরীরে খুব কাছাকাছি অবস্থান করে, তাই খিদে পেয়েছে এমন মনে হলেও তা আসলে তেষ্টা পাওয়ার নির্দেশও হতেই পারে। তাই কিছু খাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই আবার খিদে পেয়েছে বুঝলে আর বার বার এমন হতে থাকলে জোর দিন জল খাওয়ায়।

ত্বকের সমস্যা: শরীরে টক্সিন জমলে অবধারিত ভাবে তা ত্বককে নিষ্প্রাণ করে তুলবে। রোগ ঠেকাতে সহজে পারা যাবে না বলে এর হাত ধরেই ত্বকে দেখা দেবে মরসুমি নানা অসুখ। ত্বক খসখসে হয়ে পড়া থেকে শুরু করে ব্রণর হানা সবই কম জল খাওয়ার কারণেও হতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Winter Water জল Fitness Tips Health Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy