অর্থনৈতিক অস্থিরতা, অভিবাসনে কড়াকড়ি এবং পরিবার ছোট রাখার প্রবণতা ইত্যাদি কারণে বিশ্ব জুড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়েছে। এ সবের ফলে পূর্বানুমানের চেয়ে দ্রুত হারে কমছে জাপানের জন্মহার। দেশের জন্মহার সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য অভিনব ভাবনা নিয়ে এসেছে জাপান সরকার। খুব শীঘ্রই জাপান সরকার ‘টোকিয়ো ফিউতারি স্টোরি’ নামে একটি ডেটিং অ্যাপ চালু করতে চলেছে।
শিশুর খরচের জন্য পরিবারকে আর্থিক সাহায্যদান, শিশুর জন্মের সময় বাবা-মা উভয়ের জন্য দীর্ঘকালীন ছুটি, শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প— দেশের জন্মহার বৃদ্ধি করার জন্য ইতিমধ্যেই জাপান সরকার নানা ধরনের প্রকল্প নিয়েছে। এর মধ্যে নতুন সংযোজন ডেটিং অ্যাপ।
ডেটিং অ্যাপ নথিভুক্ত করার জন্য ব্যবহারকারীদের অবশ্যই একটি চিঠিতে সই করতে হবে। চিঠিতে লেখা থাকবে যে তাঁরা সত্যিই বিয়ে করতে ইচ্ছুক। এবং তাঁরা যে অবিবাহিত, সেই সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিতে হবে চিঠির সঙ্গে। ব্যবহারকারীরা যাতে বিয়ে করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, সে কথা মাথায় রেখেই অ্যাপের নানা ফিচার সাজানো হয়েছে। এই অ্যাপের রেজিস্ট্রেশনের সময় শুধু ফোটো আইডি-ই নয়, তার সঙ্গে আয়ের সনদ এবং নিজের সম্পর্কের অবস্থা (রিলেশনশিপ স্টেটাস) নিশ্চিত করে একটি প্রয়োজনীয় নথিও জমা দিতে হবে ব্যবহারকারীকে। অ্যাপে ব্যবহারকারীর উচ্চতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা-সহ ১৫ বিভাগে ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। এই সব তথ্যই যোগ্য পাত্র/পাত্রী দেখতে পাবেন। টোকিয়োর এক সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের করা সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বিয়ে করতে ইচ্ছুক পাত্রপাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপে সঙ্গীর খোঁজ করেন। সরকারি ভাবে আমরা তাঁদের সাহায্য করছি মাত্র।’’