ব্যস্ত জীবনে ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, বিশ্রামের ঘাটতির উদাহরণ এখন ঘরে ঘরে। আর তার প্রভাব পড়ছে শরীরে। বাদ পড়ছে না ত্বকের স্বাস্থ্যও। ফলে চোখে সারা ক্ষণ ক্লান্তির ছাপ, তলায় কালি, ফোলা ভাব। সেই সুযোগে বাজারে আসছে নতুন নতুন প্রসাধনী। চোখের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে ‘আন্ডার আই ক্রিম’ অথবা ‘আই ক্রিম’-এর চাহিদা বেড়েছে এখন। কিন্তু আদৌ কি মুখমণ্ডলের নির্দিষ্ট স্থানের যত্নের জন্য নির্দিষ্ট সামগ্রীর দরকার পড়ে? অন্য ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ারের সঙ্গে ‘আন্ডার আই ক্রিম’-এর ফারাক কোথায়?
আরও পড়ুন:
উত্তর দিচ্ছেন গুরুগ্রামের চর্মরোগ চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কা শর্মা। তাঁর মতে, চোখের নীচের ত্বক মুখমণ্ডলের বাকি অংশের তুলনায় খানিক পাতলা হয়। তেলের গ্রন্থিও সেখানে কম থাকে এবং সে জায়গাটি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা তুলনায় বেশি। এই কারণে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়লে, সবার প্রথম চোখেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সূক্ষ্ম বলিরেখা থেকে শুরু করে শরীরে জলের অভাব, চোখই যেন এ সবের প্রথম ইঙ্গিত দেয়। যদিও হালকা, হাইড্রেটিং ফেস ময়েশ্চারাইজ়ার চোখের চারপাশে ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু চোখের ক্রিমগুলি বিশেষ ভাবে চোখের নীচের সমস্যার সমাধান করার উদ্দেশ্যেই বানানো। এই সমস্ত ক্রিমে থাকা ক্যাফিন ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে, পেপটাইড কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং সূক্ষ্ম বলিরেখা দূর করে। তা ছাড়া ভিটামিন-সি চোখের তলার কালি মুছে ফেলার ক্ষমতা রাখে।

অন্য ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ারের সঙ্গে ‘আন্ডার আই ক্রিম’-এর ফারাক কোথায়? ছবি: সংগৃহীত।
অন্যান্য ক্রিমের তুলনায় ‘আন্ডার আই ক্রিম’ অথবা ‘আই ক্রিম’ মাখলে চোখে জ্বালা ভাবও কমে। অস্বস্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ভিটামিন-সি এবং নিয়াসিনামাইডের মতো উপাদানগুলি চোখের তলার জেদি ছোপের ক্ষেত্রেও কার্যকরী হতে পারে। শুষ্কতা কমানোর জন্য চোখের তলার ক্রিমে থাকে হায়ালুরনিক অ্যাসিড।
তবে হ্যাঁ, সব সময় আদপেই চোখের জন্য আলাদা ক্রিমের প্রয়োজন পড়ে না। যদি আপনার সাধারণ ফেস ময়েশ্চারাইজ়ার ত্বকে জলের ঘাটতি মেটানো এবং পুষ্টি প্রদানের জন্য যথেষ্ট কার্যকরী হয়, তা হলে সেটি চোখের তলার শুষ্কতা, ছোপ দূর করার ক্ষেত্রেও উপকারী। অতিরিক্ত পণ্যের প্রয়োজন না-ও পড়তে পারে সে ক্ষেত্রে।