রাস্তায় বের হলেই ঝাঁ ঝাঁ রোদে প্রাণ ওষ্ঠাগত। গনগনে রোদের তেজে তেতেপুড়ে যাচ্ছে ত্বক। কালচে দাগছোপ পড়ছে। রোজ যদি বাইরে বেরোতে হয় তা হলে দেখবেন, হাত বা মুখের যে অংশটাতে রোদ বেশি লাগছে সেখানেই ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা র্যাশ হচ্ছে। রোদে ত্বকের রং কালচে হয়ে গেলে তাকে ‘সানবার্ন’ বলা হয়। এর থেকে ত্বকে জ্বালাযন্ত্রণা তো বটেই, এমনকি ত্বকের মেলানিন রঞ্জকেরও তারতম্য হতে পারে। তাই সানবার্ন যাতে না হয়, তার জন্য ব্যবহার করতে হবে বিশেষ একটি জিনিস।
ত্বক চিকিৎসকেদের মতে, সকলের ত্বক সমান হয় না। তাই সূর্য রশ্মি ত্বকে লাগলে তার বিভিন্ন রকম প্রভাব হতে পারে। অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের সংক্রমণ ঘটায় অনেকের। অত্যধিক মেলানিন তৈরি হতে থাকে, তখন ত্বকের রং গাঢ় হয়ে যায়।
‘ফ্রন্টিয়ার্স নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাপল সাইডার ভিনিগার সানবার্ন প্রতিরোধ করতে পারে। ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রেখে এটি ত্বকের প্রদাহও রোধ করতে পারে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া হলে বা র্যাশ বেরোলে যদি অ্যাপল সাইডার ভিনিগার সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা যায়, তা হলে জ্বালাযন্ত্রণা কমতে পারে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
১) এক চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে এক চা চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ হাতে ও মুখের রোদে পোড়া জায়গাগুলিতে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫-২০ মিনিট। তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিতে হবে।
২) ১ চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকের যেখানে যেখানে কালচে দাগ হয়েছে, সেখানে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিতে হবে।
৩) এক চা চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিতে হবে। এটি ত্বকের জ্বালাভাব কমাবে।