ছবি: সন্দীপ পাল
পুজো মানেই ফুরফুরে একটা ব্যাপার। কখন ঘুম, কখন জেগে থাকা তার কোনও হিসেব নেই। পড়াশোনার বালাই প্রায় নেই। অন্তত অনেকর ছোটবেলার স্মৃতি এমনই। সে যাই হোক, অনেক কিছুই আজও পাল্টায়নি। তা হল পুজোর সময়ে খাবারের চাহিদা। সকালে লুচি-মিষ্টি তো দুপুরে বিরিয়ানি-কষা মাংস। রাতে নানা রকমে ঠাণ্ডা-গরম পানীয় পানীয়ের চলও কম নেই। রাতের দিকে শীত-শীত ভাব থাকলেও আইসক্রিমের কাটতিও কম যায় না। ‘রোল’, ফুচকা, পাপড়ি-চাট কিংবা ভেলপুরি, মোমোর চাহিদাও তো আজকাল বেশ। সে জন্য ক্যালরির হিসেবটা জেনে রাখা দরকার। পুজোর সময়ে অনেক জায়গায় আয়োজন থাকে খিচুড়িরও। তার চাহিদাও কম নয়। কিন্তু, মনে রাখতে হবে সুস্থ, সবল, গড় উচ্চতা ও স্বাভাবিক ওজনের সাবালক-সাবালিকাদের গড়ে ১৬০০ থেকে ২০০০ ক্যালরি প্রয়োজন। একটু কমবেশি হতেই পারে। তবুও খাবারের সময়ে মোটামুটি একটা হিসেব যেন মস্তিষ্কে ঘোরাফেরা করে।
ক্যালরির হিসেব
• চিকেন বিরিয়ানি ১ প্লেট (বড়)- ২৭৪ ক্যালরি
• মাটন বিরিয়ানি ১ প্লেট ৩১০ ক্যালরি
• চিকেন চাউমিন ১০০ গ্রাম ৪৫৯ ক্যালরি
• চিলি চিকেন বড় হোটেলের ১ প্লেট ২৮৫ ক্যালরি
• চিকেন মোমো ১০টি মোমো ৩৫০ ক্যালরি
• মোমোর চাটনি ১ চামচে ৬০ ক্যালরি
• ভেজ পোলাও ২০০ ক্যালরি
• এগ চিকেন রোল বড় ১৬০ ক্যালরি
• ফুচকা ৫ পিস ১৮০ ক্যালরি
• কোল্ড ড্রিঙ্কস ৫৯ ক্যালরি
• পাপড়ি চাট ৭০ ক্যালরি
• ভেলপুরি ৫০ ক্যালরি
• ১ প্লেট সাধারণ খিচুড়ি (চাল বেশি ডাল কম) ২৫৪ ক্যালরি
• চাল-ডাল সমান হলে ১ প্লেট খিচুড়ি ৩৫০ ক্যালরি
• ছোট ভ্যানিলা আইসক্রিম (১০০ গ্রাম) ২০৭ ক্যালরি
• একটা বড় স্কুপ ২৬৭ ক্যালরি
অতএব হিসেব কষুন
অতএব খাবার সময় মোটামুটি একটা হিসেব কষলে শরীর খুশি হবে। মন ভাল থাকবে। তবে হ্যাঁ, পুজো দেখতে বেরিয়ে যদি গাড়ি থেকে বেশি না নামেন, তা হলে খাবার একটু কম খেতে হবে। তবে যদি অনেকটা হেঁটে ঠাকুর দেখার অভ্যেস থাকে বা মণ্ডপে যাতায়াতের বিধিনিষেধের জন্য হাঁটতে বাধ্য হন, তা হলে অবশ্য হজম নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
হাঁটার হিসেব
১০ মিনিটে ১ কিলোমিটার গতিতে যদি ৩ কিলোমিটার হাঁটেন তাতে প্রায় ২০০ ক্যালরি শক্তি ক্ষয় হতে পারে। কাজেই পছন্দসই খাবার খেলে অপছন্দ হলেও একটু বেশি হেঁটে ঠাকুর দেখুন। হজম সংক্রান্ত অনেক সমস্যা আপনাকে ছুঁতেই পারবে না।
আরও জানুন
আরেকটু জেনে রাখা দরকার। রাতে যদি বেশি খেয়ে ফেলেন। পর দিন ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ কিন্তু একেবারেই হালকা খাবার খেতে হবে। তাতে মাছের পাতলা ঝোল, টক দই, সব্জি থাকতে পারে।
জল খাবেন নিয়ম করে।। একবারে ঢকঢক করে প্রায় ১ লিটার জল খেয়ে বীরত্ব দেখাবেন না। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে যেখানে সেখানে চা, জল, খোলা জায়গায় রাখা সরবৎ, পানীয় একদম খাবেন না। জল বাড়ি থেকে নিয়ে বার হবেন। অথবা বোতল বন্দি নিরাপদ জল কিনে খাবেন। মনে রাখবেন, জলই জীবন আবার অশুদ্ধ জলেই থাকে প্রচুর বিপদ।
সব শেষে সবার জানা কথা আরও একবার। খাবার খেয়ে শরীর খারাপ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। হাসপাতালে যাবেন। পুজোর সময় আর কোথাও না হোক, হাসপাতাল, নার্সিংহোমে কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক থাকবেনই। সেখানকার নম্বরগুলি মোবাইলে ‘সেভ’ করে রাখবেন। সঙ্গে কয়েকটা আম্বুল্যান্সের নম্বর রাখাটাও কিন্তু সুনাগরিকের লক্ষণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy