সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়েই অনেকে ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণ করেন। কিন্তু সেটা করার ক্ষেত্রে আগে ভাবতে হবে এ বার। কারণ, টিকিট বাতিল করলে এ বার সামান্য টাকাই ফেরত যাবে। ফলে সফর না করলেও বিপুল টাকা খরচ হবে। একই সঙ্গে, যে টাকা বাতিলের খরচ হিসাবে কাটা হবে তার উপরে দিতে হবে ৫ শতাংশ হারে জিএসটি। ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট বাতিল করলে তা-ও কিছু টাকা ফিরতে পারে কিন্তু সেটা পার হয়ে গেলে ক্রমেই কমবে পরিমাণ। আর ট্রেন ছেড়ে দিলেই ফেরতের পরিমাণ হয়ে যাবে শূন্য।
রেলের টিকিট যদি কনফার্ম না হয়, তবে পুরো টাকা ফেরত পাওয়ার নিয়ম। তাতে কোনও বদল হচ্ছে না। কিন্তু টিকিট এক বার কনফার্ম হয়ে গেলে তা বাতিল করতে এখন অনেক খরচ। এত দিন ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে কনফার্ম টিকিট বাতিল করলে এসি প্রথম শ্রেণির ক্ষেত্রে বাতিলের খরচ (ক্যানসেলেশন ফি) কেটে নেওয়া হত ১২০ টাকা। এখন সেটা দ্বিগুণ ২৪০ টাকা। এর সঙ্গে ৫ শতাংশ জিএসটি। একই ভাবে এসি টু টিয়ারের খরচ ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০ টাকা, এসি থ্রি টিয়ারের ক্ষেত্রে ৯০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, স্লিপারে ৬০ থেকে বেড়ে ১২০ টাকা এবং সেকেন্ড ক্লাসের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে বেড়ে ৬৩ টাকা। এর উপরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই যুক্ত হবে ৫ শতাংশ হারে জিএসটি।
আরও পড়ুন:
এত দিন ট্রেন ছাড়ার ৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টিকিট বাতিল করলে কাটা হত ২৫ শতাংশ টাকা। এখন সেটা হয়ে গেল ১২ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া নিয়মে ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে টিকিট বাতিল করলে অর্ধেক টাকাই কেটে নেবে রেল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই যুক্ত হবে জিএসটি।
সুতরাং, দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণের আগে ভাবুন এবং কাটুন। তবে রেল এখন একটা সুবিধাও দেয়। আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটার সময়ে কিছু টাকা বেশি দিলে বাতিল করলে পুরো টাকা ফেরত পাওয়া যায়।