ভ্যাপসা গরম বাড়তেই কেশসজ্জায় বিড়ম্বনা। ঘাড়ের উপরে চুল তুলে রাখার জন্য কী-ই না করতে হয়! এই ঋতুতে খোলা চুলের সাজ অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়। তাই অনেকেই চুল বেঁধে রাখেন সারা দিন ধরে। এতে আরাম পেলেও বাঁধার ভুলে তিলে তিলে ক্ষতি হতে থাকে চুলের। সারা ক্ষণ ঝুঁটি করে রাখার অভ্যাস থাকলে, কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা উচিত। রইল ৭টি টোটকা।
চুল আঁচড়ানো: চুল বাঁধার আগে অবশ্যই ধৈর্য ধরে চুল আঁচড়ে নিতে হবে, যাতে এক বিন্দুও জট না থাকে। জট থাকা অবস্থায় চুল বেঁধে নিলে ঝরে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ভেজা চুল না বাঁধা: স্নান করে বেরিয়ে অথবা বৃষ্টিতে ভিজে গেলে চুল বাঁধা উচিত নয়। এই ভুল কখনওই করবেন না। কারণ, ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া পাতলা থাকে। সেই সময় বেশি টান পড়লে চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে।

চুল বাঁধার জন্য সিল্কের বা সাটিনের ব্যান্ড ব্যবহার করা উচিত। ছবি: সংগৃহীত।
আলগা করে বাঁধা: সারা দিন ধরে শক্ত করে চুল বেঁধে রাখেন? অস্বস্তি কমানোর জন্য এই ভুলটি করবেন না আর। এতে চুল পড়ার সমস্যা অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যাবে। বাঁধন খুললেই হাতে উঠে আসবে গুচ্ছ গুচ্ছ চুল। দিনের বেশির ভাগ সময়েই আলগা করে বা হালকা করে চুল বেঁধে রাখবেন। এতে চুলের গোড়ায় চাপ কম পড়ে।
চুলের ধরন অনুযায়ী বাঁধা: যদি আপনার চুল লম্বা ও ঘন হয়, তা হলে ঢিলেঢালা বেণী বাঁধতে পারেন। কিন্তু যদি চুল বেশি পাতলা হয়, তবে খোলা রাখাই ভাল অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, ধুলোময়লার সংস্পর্শ যেন বেশি না থাকে।

বাঁধার ভুলে তিলে তিলে ক্ষতি হতে থাকে চুলের। ছবি: সংগৃহীত।
সিল্ক বা সাটিনের ফিতে বা ব্যান্ড ব্যবহার: চুলে ঝুঁটি বা বেণী বাঁধার জন্য নরম, সিল্কের বা সাটিনের ব্যান্ড ব্যবহার করা উচিত। রবার বা ধাতব বাঁধন এড়িয়ে চলবেন সব সময়ে।
রাতে আলগা বাঁধন: রাতে চুল খোলা রাখলে জট পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই হালকা করে একটি বেণী অথবা আলগা ঝুঁটি বেঁধে রাখা উচিত। আরামও পাবেন এতে। চুলের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। রাতে চুল বাঁধার আগে ভাল করে আঁচড়ে নিতে ভুলবেন না।
বাঁধনে বিরতি: অফিসে একটু কাজের চাপ কমলে অথবা বিরতি নিলে তখন চুলের বাঁধনেও বিরতি দেওয়া উচিত। মাঝেমধ্যে বাঁধা চুল খুলে রাখুন। সারা দিন বেঁধে রাখলে নির্দিষ্ট বিন্দুতে ব্যথা হতে পারে। তা ছাড়া সারা ক্ষণের এই চাপ থেকে মাথার ত্বক ও চুলের গোড়াকে মুক্তি দেওয়া উচিত কখনও কখনও।