ননস্টিক কড়াই থেকে হতে পারে টেফ্লন জ্বর। ছবি: সংগৃহীত।
ননস্টিক রান্নার পাত্রের ক্ষেত্রে একটি অভিযোগ বহুল প্রচলিত। তা হল, ননস্টিক পাত্রের ‘টেফ্লন’ আবরণ নাকি হতে পারে ক্যানসারের কারণ। এর সত্যতা প্রামাণ্য নয়, তবে, প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরেই ননস্টিক পাত্র ব্যবহার করা হয়। সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, গত বছর আমেরিকায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ ‘টেফ্লন জ্বর’ বা ‘পলিমার ফিউম ফিভার’-এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
‘টেফ্লন জ্বর’ বা ‘পলিমার ফিউম ফিভার’ কী?
টেফ্লন হল এক ধরনের কৃত্রিম রাসায়নিক। টেফ্লনের আবরণযুক্ত পাত্র অতিরিক্ত গরম করা হলে এর উপরের আবরণটি ক্ষয় হয়ে বাতাসে ক্ষতিকারক ধোঁয়া ছড়াতে পারে। এই ধোঁয়ায় ফ্লোরিনযুক্ত পদার্থের একটি জটিল মিশ্রণ থাকে যা শ্বাস নেওয়ার সময়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই ধোঁয়া অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করলে জ্বর, মাথাব্যাথা, শ্বাসকষ্ট-সহ আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কী ভাবে টেফ্লন জ্বর প্রতিরোধ করা সম্ভব?
টেফ্লন জ্বরের ঝুঁকি কমাতে এই নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
১) পাত্র অতিরিক্ত গরম করা এড়িয়ে চলতে হবে: টেফ্লনের আবরণযুক্ত পাত্রে রান্না করার সময়ে, মাঝারি বা কম তাপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। উচ্চ তাপে রান্না করার প্রয়োজন হলে এই পাত্র ব্যবহার না করাই ভাল।
২) রান্নাঘরের সঠিক বায়ুচলাচল নিশ্চিত করতে হবে: এই ধরনের পাত্রে রান্না করার সময়ে রান্নাঘরের ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ব্যবহার করা বা জানালা খোলা রাখা আদর্শ হতে পারে।
৩) পাত্রের যত্ন: বাসন ধোয়ার সময়ে টেফ্লন আবরণকে বেশি ঘষামাজা করা এড়াতে হবে এবং এটিতে কেবল কাঠের খুন্তি ব্যবহার করতে হবে।
৪) মৃদু পরিস্কার: আঁচড় এড়াতে এবং টেফ্লন স্তরের ক্ষয় এড়াতে উষ্ণ জল, মৃদু সাবান এবং একটি নরম স্পঞ্জ দিয়ে পাত্রটি ধুতে হবে। মাজার আগে পাত্রটি কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে।
৫) প্রয়োজনে পাত্র বদলাতে হবে: একই পাত্র বেশি দিন ব্যবহার করা উচিত না। টেফ্লন স্তরের ক্ষয় হচ্ছে দেখা গেলে, পাত্রটি অবিলম্বে বদলে ফেলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy