ধীরে ধীরে বাড়ছে গরম। চিন্তা বাড়ছে তৃষাণজিতের মায়ের। দুরন্ত ছেলে। দিনরাত খেলাধুলো করে। দরদরিয়ে ঘামে। এ দিকে খেলায় মত্ত ছেলেকে জল খাওয়ানো কি মুখের কথা! গত বছরেই রোদের তাত লেগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সে। চিকিৎসক বার বার বলেছেন, গরমের দিনে সন্তানকে সুস্থ রাখতে হলে জল খাওয়ানো জরুরি। কিন্তু ছেলে খেলে তো!
সন্তান কথা না শুনলে, নতুন কৌশল বার করতেই হয় মাকে। নিয়ম করে অনেক শিশুই জল খেতে চায় না। তবে জলের ঘাটতি পূরণে তাকে মনের মতো পানীয় বানিয়ে দিলে লাভ হতে পারে।
আরও পড়ুন:
জলের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে শসা। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, একটি শসায় ৯৬ শতাংশই জল থাকে। খুব সামান্য পরিমাণে ভিটামিন বি, সি, কে, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম মেলে এতে। এতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও সামান্য পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে।
ডাবের জলও কম পুষ্টিকর নয়। এতে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়ামের মতো খনিজ। অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে খনিজও বেরিয়ে যায় অনেক সময়। সেই ঘাটতি পূরণে পুষ্টিকর পানীয় খাওয়া জরুরি।
ডাব-শসার পানীয়
শসা এবং ডাবের জল দিয়ে খুদেকে বানিয়ে দিন পানীয়। পন্থাও খুব সহজ। শসা টুকরো করে কেটে মিক্সিতে কিছুটা ডাবের জলের সঙ্গে ঘুরিয়ে নিন। যোগ করুন স্বাদমতো সৈন্ধব লবণ এবং সামান্য চিনি অথবা মধু। সুদৃশ্য কাচের গ্লাসে কয়েক কুচি বরফ দিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ছোট বলে স্টিলের গ্লাসে দিলে হবে না। কোনও পানীয় সুন্দর গ্লাসে পরিবেশন করলে যেমন বড়দেরও খেতে ইচ্ছা করে, একই নিয়ম প্রযোজ্য ছোটদের জন্যও।
তরমুজ-শসার পানীয়
মিক্সিতে তরমুজ এবং শসা কেটে দিয়ে দিন। ফেলে দিন কয়েকটা পুদিনা পাতা। যোগ করুন সামান্য সৈন্ধব নুন। মিক্সারে ঘুরিয়ে পানীয়টি কাচের গ্লাসে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
পাতিলেবু এবং শসা
শসার টুকরো মিক্সারে ঘুরিয়ে রস করে ছেঁকে নিন। এ বার এতে আধখানা পাতিলেবুর রস, সামান্য সৈন্ধব নুন, থেঁতো করা পুদিনা মিশিয়ে নিন। চিনির বদলে মধু ব্যবহার করতে পারেন সামান্য।