মাছি তাড়ানোর সহজ টোটকা কী? ছবি: শাটারস্টক।
কেবল ভাল রান্না করলেই হবে না, সেই রান্নাকে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করতে পারলে তবেই তো ভাল রাঁধুনী হওয়া যায়। আর এই কাজটি করতে হলে সবার আগে হেঁশেলটিকে রাখতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। কষ্ট করে রান্না করে হেঁশেলে রেখে এলেন, আর দুপুরে যদি গিয়ে দেখেন খাবারে মাছি ভনভন করছে, তখন আর বিরক্তির শেষ থাকে না।
বর্ষাকাল মানেই মাছির উপদ্রব বা়ড়ে। ছোঁয়াচে রোগ জাঁকিয়ে বসার আদর্শ সময় বর্ষাকাল। তাই এই সময় দরকার অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া জরুরি। মাছি খাবারে বসলে পেটের রোগের পাশাপাশি বিষক্রিয়াও হতে পারে৷ সুতরাং রান্নাঘরে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করতেই হবে। কী ভাবে সম্ভব? জেনে নিন, মাছি তাড়ানোর মোক্ষম দাওয়াই কী।
১) রান্নাঘরে ছোট পুদিনা পাতার গাছ লাগাতে পারেন। পুদিনা পাতার গন্ধে মাছি পালাবে রান্নাঘর ছেড়ে।
২) রান্নাঘরের কোণগুলিতে নিয়ম করে ভিনিগার স্প্রে করুন। ভিনিগার মাছির যম। এ ছাড়া ল্যাভেন্ডার বা লেবুর গন্ধযুক্ত এসেনশিয়াল অয়েল সপ্তাহে এক দিন স্প্রে করলেও মাছি আপনার রান্নাঘর থেকে দূরে থাকবে।
৩) দারচিনির তাজা গন্ধেও রান্নাঘর থেকে মাছি দূরে থাকবে। রান্নাঘরের জানলায় দু'টুকরো দারচিনি রাখুন। জানলা থেকেই বিদায় নিতে হবে তাকে। লবঙ্গের গন্ধও মাছি সহ্য করতে পারে না। লবঙ্গ ছড়িয়ে রেখে কাজ হাসিল হতে পারে।
৪) মাছি তাড়ানোর সব থেকে ভাল উপায় হল রোজ সন্ধ্যায় ধুনো জ্বালানো। ধুনোর গন্ধে সব পোকামাকড়ই চম্পট দেয়। আরও ভাল ফল পেতে ধুনোয় কর্পূর ফেলে দিতে পারেন।
তবে এগুলি তো গেল টোটকা। রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতাও। কোনও ভাবেই খাবার খোলা রাখা চলবে না। উল্টো ভাবে বললে খোলা জায়গায় রাখা রয়েছে, এমন খাবার খাওয়াও চলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy