মনের ক্লান্তি কাটাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত
কাজের চাপ, বাড়ির চাপ, ব্যক্তিগত চাপ— এই সব চাপের মধ্যে দীর্ঘ দিন থাকতে থাকতে অনেকের এক এক সময় মনে হয়, মাথাটা বোঝাই হয়ে গিয়েছে। নিজে আর কোনও ভাবেই নিজের মধ্যে নেই। সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। মনোবিদ্যার ভাষায় অনেকে একে ‘ব্রেন ফগ’ বা ‘মাথার কুয়াশা’ বলেন।
এই অবস্থা থেকে কেউ বেরবেন কী করে? তারও উত্তর দিচ্ছেন আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল মনোবিদ।
খাবার বদল: ভাজাভুজি বা অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে শুধু শরীর নয়, মস্তিষ্কও কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে ঘুম পায়। এই সব খাবারের কারণে পেটে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, যা এই ক্লান্তির কারণ। কিন্তু তার মানেই এটা নয়, পছন্দের সব মিষ্টি বা ভাজাভুজি বাদ দিতে হবে। বরং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদরা বলছেন, রাতে টানা ১০ ঘণ্টা পেটকে বিশ্রাম দিন। ওই সময় কিছু খাবেন না। আর ফল বা স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিমাণ বাড়ান রোজকার ডায়েটে।
মনের চাপ কমান: এখন প্রত্যেকের ফোনে সর্বদা নানা নোটিফিকেশন আসতেই থাকে। মেসেজ বা ইমেল তো আছেই, তার বাইরে নানা অ্যাপের নানা নোটিফিকেশন। এতে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় ধ্যান বা মেডিটেশন করা যেতে পারে। এমনটাই পরামর্শ মনোবিদদের।
সূর্যের আলো: মস্তিষ্কের বা মনের ক্লান্তি দূর করতে ঘুমের বিরাট ভূমিকা আছে। ঘুম ভাল হলে এই ক্লান্তি দ্রুত কাটে। আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যা বিভাগের জার্নাল বলছে, প্রতি দিন সূর্য ওঠা আর ডোবার সময় কিছু ক্ষণ যদি সেই আলোতে দাঁড়ানো যায়, তা হলে ঘুম ভাল হয়। রাতে চট করে ঘুম চলে আসে, আবার দিনের শুরুতে সেই ঘুম ভেঙেও যায়।
শরীরচর্চা: মনের ক্লান্তি কাটাতে শরীরচর্চা কাজে লাগতে পারে। খেলাধুলো বা হালকা এক্সারসাইজ করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে বাড়ে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা। এতে মাথার ক্লান্তিও অনেকটা কাটে। তাই মনের ক্লান্তি কাটাতে এক্সারসাইজের মাধ্যমে শরীরকে ক্লান্ত করে দেওয়াটা সহজ রাস্তা। এমনটাই মত ওই মনোবিদদের।
মাথা খাটানোর খেলা: এমন কিছু খেলা রয়েছে, যা মাথার ব্যায়ামে কাজে লাগে। শব্দছক, তাসের কিছু খেলা বা দাবার মতো বোর্ড গেমে মাথার ভাল ব্যায়াম হয়। এই সময় টেলিভিশন দেখে বা অন্য ভাবে সময় কাটালে, তা হয় না। এই ধরনের মাথার ব্যায়ামের মতো খেলা যদি প্রতিদিন কিছুটা সময় খেলা যায়, তা হলে মনের ক্লান্তি কাটতে পারে বলে মত স্ট্যানফোর্ডের মনোবিদদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy