ব্রাশের যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
দাঁতের যত্ন নেয় ব্রাশ। ঠিক তেমনই ব্রাশের যত্ন নেওয়া জরুরি। না হলে আখেরে দাঁতেরই ক্ষতি। দু’বেলা দাঁত মাজার অভ্যাস অনেকেরই আছে। দাঁত মাজা হয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ব্রাশটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেন। ব্যস, ব্রাশের যত্ন বলতে এটুকুই। কিন্তু ব্রাশের এর চেয়ে অনেক বেশি যত্ন প্রাপ্য। আর কিছু না হোক অন্তত মুখের ভিতরের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ব্রাশের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ব্রাশ যত্নে রাখতে কোন দিকগুলিতে নজর দেবেন?
১) বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের ব্রাশ একই পাত্রে সাজানো থাকে। এই ভাবে ব্রাশ রাখা মোটেও সু অভ্যাস নয়। বরং এতে এক জনের ব্রাশ থেকে অন্য জনের ব্রাশে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। যদি এক পাত্রেই রাখতে হয়, তবে তাতে ঢাকনা পরিয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি বাথরুমে ব্রাশ রাখা চলবে না একেবারেই। শৌচাগারের স্যাঁতসেঁতে ও আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়ায় রোগজীবাণুর বিস্তার অনেক সহজ হয়। শৌচাগারে রাখা ব্রাশে রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও তাই অনেকটাই বেশি।
২) সাধারণ জলে না ধুয়ে যদি ব্যবহার করার আগে ও পরে উষ্ণ জলে টুথব্রাশের আগা ধুয়ে নেওয়া যায়, তবে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা কমে অনেকটাই। যদি গরম জলের ব্যবস্থা না থাকে, তবে যে কোনও মাউথ ওয়াশে মিনিট দুয়েক চুবিয়ে রাখলেও জীবাণুমুক্ত হবে ব্রাশ।
৩) যত খোলামেলা স্থানে টুথব্রাশ রাখা যাবে, ততই ভাল। বিশেষত ব্রাশ ভিজে অবস্থায় ঢাকা দিয়ে রাখলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। যদি নিতান্তই ঢাকা দিয়ে রাখতে হয়, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি দু'সপ্তাহ অন্তর ভাল করে সাফ করতে হবে ব্রাশের ঢাকনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy