নিজের বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণণতার পরিচয় কী ভাবে দেওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।
পেশাগত জগতে থেকে ব্যক্তিগত জীবনে, অনেকেই ভাল কথা বলতে পারার জন্য জনপ্রিয় হন। যে কোনও বিষয় সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা নিঃসন্দেহে একটি গুণ। কিন্তু অনেক সময় কথা বলার চেয়েও আনুষঙ্গিক আচার-আচরণ দিয়েও অনেক কিছু বোঝানো যায়। সঠিক বেশভূষা, হাঁটাচলা ও অন্যের সঙ্গে কথা বলার ভঙ্গি, মানসিকতা দিয়েও আত্মবিশ্বাস, বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করা যায়।
কথা শোনা
ভাল কথা বলতে পারা যেমন গুণের মধ্যে পড়ে, তেমনই অনেকে অন্যকে থামিয়ে দিয়ে কথা বলেন। এটা ঠিক নয়। কোনও কোনও সময় অন্যের কথা শোনাটাও খুব জরুরি। কেউ মন দিয়ে কথা শুনলে অন্য পক্ষ মনে করেন, তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কথা শোনার সময় চোখের দিকে তাকানো, মাথা নাড়ানো এই ধরনের ভঙ্গিমায় অন্য জন বুঝতে পারেন, তাঁর কথা মন দিয়ে শোনা হচ্ছে। তিনিও মন খুলে কথা বলতে পারেন।
আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাস শুধু কথায় নয়, হাঁটাচলা, করমর্দন, চোখের দিকে তাকানোর মতো সমস্ত ভঙ্গিমাতেই ফুটে ওঠে। শিরদাঁড়া সোজা রেখে হাঁটা, কথা বলার সময় চোখের দিকে তাকানো, মৃদু হাসি, এ সমস্ত কিছুতেই আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে। কেউ যদি কথা বলার সময় চোখের দিকে তাকাতে না পারেন, হাঁটাচলায় সেই দৃঢ়তা না থাকে, তা হলে সেই মানুষটির আত্মবিশ্বাসের অভাব চোখে পড়ে।
পোশাক
পরিবেশ, পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক সাজপোশাক খুব জরুরি। বাহ্যিক ভাবে কারও সাজপোশাক দেখেই তাঁর সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়। অফিসের পার্টি হলে যে পোশাক পরা যায়, কর্পোরেট মিটিংয়ে সেই পোশাক চলবে না। আবার রোজকার অফিসে পরে আসার পোশাক আলাদা হয়। কর্মক্ষেত্রে বা ব্যক্তিজীবনে পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী পোশাক সেই মানুষটির রুচির ধারণা দেয়।
কথা রাখা
কম কথা বলেও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো যায়। সে ক্ষেত্রে চারিত্রিক দৃঢ়তা প্রকাশ পেতে পারে কথা রাখার বিষয়ে। কোনও দায়িত্ব নিলে তা যথাসময়ে পূরণ করার মানসিকতা কর্মক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে। সকলের মনে হয়, কম কথা বলা মানুষটি কাজের মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy