যে কোনও অনুষ্ঠানে নীতার সাজ সকলের মধ্যে থেকে আলাদা করে নজর কেড়ে নেয়। তবে অম্বানী পরিবারে আরও অনেক সদস্যই তো রয়েছেন। তাঁদের সকলে কে কেমন সাজলেন, তারই ঝলক রইল এখানে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২২
অম্বানী বাড়ির বিয়ে বলে কথা! সেই উপলক্ষে জিয়ো ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে চাঁদের হাট যে বসবে, সে কথা অজানা নয়। মুকেশ এবং নীতা অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্তের বিবাহ উৎসব চলছে প্রায় বছর জুড়ে। তবে, উৎসবের মূল আকর্ষণ তো বিয়ে। তাই সে দিন কে কেমন সাজলেন, তা নিয়ে কম-বেশি সকলেরই কৌতূহল রয়েছে।
০২২২
বিয়ে উপলক্ষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে অতিথি সমাগম হয়েছিল। হলিউড থেকে বলিউড, ক্রীড়াজগৎ থেকে ব্যবসা, রাজনীতি থেকে শিল্প— নিমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন সব ক্ষেত্রেরই খ্যাতনামীরা।
০৩২২
অতিথিদের সাজ কেমন হবে তা নিয়ে যেমন সকলের কৌতূহল রয়েছে, তেমনই অম্বানী পরিবারের সদস্যেরা কেমন সেজেছেন, তা নিয়েও উৎসাহের শেষ নেই। অম্বানী পরিবারের যে অনুষ্ঠানই হোক না কেন, নীতা অম্বানী সকলের মধ্যে থেকে আলাদা করে নজর ছিনিয়ে নেন।
০৪২২
তবে অম্বানী পরিবারে আরও অনেক সদস্যই তো রয়েছেন। জ্যেষ্ঠপুত্র আকাশ, তাঁর স্ত্রী শ্লোকা, কন্যা ঈশা, জামাই আনন্দ এবং স্বামী মুকেশ রয়েছেন সেই তালিকায়। রয়েছে নাতি-নাতনিরাও। তাঁদের সকলে কে কেমন সাজলেন, তারই ঝলক রইল এখানে।
০৫২২
মুকেশ এবং অনিল অম্বানীর মা কোকিলাবেন। সম্পর্কে অনন্তের ঠাকুমা। নাতির বিয়ে বলে কথা! সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন নবতিপর কোকিলাবেন। বিয়ের দু’দিন আগে অম্বানী-আবাস 'অ্যান্টিলিয়া'য় বিশেষ একটি পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল।
০৬২২
তখনই পাপারাৎজ়ির ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল তাঁর ছবি। লাল-সাদা শাড়ি জর্জেট শাড়ির সঙ্গে মানানসই ব্লাউজ় ছিল তাঁর পরনে। শাড়ির পাড় জুড়ে মণিমুক্তো। গলায় হিরের হার, কানে হিরের দুল। সঙ্গে দু’হাতে মানানসই হিরে বসানো চুড়ি।
০৭২২
কনিষ্ঠ পুত্র অনন্তের বিয়েতে রিলায়্যান্স-কর্তা মুকেশ ধরা দিলেন বরকর্তার সাজে। প্যাস্টেল গোলাপি রঙের গলাবন্ধ সিল্কের শেরওয়ানির সঙ্গে সাদা পাজামা ছিল তাঁর পরনে। পায়ে কালো রঙের বুট জুতো।
০৮২২
শেরওয়ানির বাঁদিকে ছিল লাল রঙের সিল্কের ‘পকেট স্কোয়্যার’। ডান দিকে একটি হাতির প্রতিরূপ আঁকা ব্রোচ। ব্রোচটি অনন্তের হাতে তৈরি হাতিদের পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘ভানতারা’র প্রচারের একটি অঙ্গ বলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে।
০৯২২
কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানীর বিয়ে। ছেলের বিয়েতে নীতা কেমন সাজবেন, তা নিয়ে ফ্যাশন জগৎ থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেরই জল্পনা ছিল তুঙ্গে। পোশাকশিল্পী আবু জানি এবং সন্দীপ খোসলার নকশা করা ‘রঙ্কত’ লেহঙ্গা পরেছিলেন নীতা। লেহঙ্গা জুড়ে ছিল সবুজ, গোলাপি এবং সোনালি আভা।
১০২২
সঙ্গে ছিল মানানসই হিরের গয়না। কানে হিরের ঝুমকো। গলায় হিরের লহরি হার। মাঝে রয়েছে হলুদ পোখরাজ। সিঁথির মাঝে মাঙ্গটিকা। বাহুতে হিরে বসানো চুড়ি এবং আঙুলে তেমনই আংটি।
১১২২
পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে যত বিরোধ থাক, পারিবারিক অনুষ্ঠানে সেই ছাপ পড়তে দিলেন না অম্বানীরা। ভাইপো অনন্তের বিয়েতে গোটা পরিবারের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন মুকেশের ভাই অনিল অম্বানীও।
১২২২
দাদার মতো গলাবন্ধ ঘিয়ে রঙের সিল্কের শেরওয়ানি পরে ভাইপো অনন্তের বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন অনিল। এক পাশে বাবা মুকেশ এবং অন্য পাশে কাকা অনিলকে নিয়ে বিয়ের মণ্ডপে হেঁটে আসতে দেখা গিয়েছিল অনন্তকে। গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে অনিল পরেছিলেন হলুদ রঙের সিল্কের পাঞ্জাবি-পাজামা।
১৩২২
অনন্তের বিয়েতে অতিথিদের আপ্যায়ন করতে দেখা গিয়েছিল অনিলের স্ত্রী টিনাকেও। তাঁর পরনে ছিল জমকালো সিল্কের শাড়ি।
১৪২২
দু’দিন আগে অ্যান্টিলিয়ায় যে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনন্তের কাকিমা। একেবারে সাধারণ উজ্জ্বল নীল রঙের সালোয়ার স্যুট ছিল টিনার পরনে। সঙ্গে মানানসই রুপোলি ব্রোকেডের ওড়না। হাতে পুঁটলি ব্যাগ।
১৫২২
ভাইয়ের বিয়েতে আকাশ সেজেছিলেন প্যাস্টেল কমলা এবং রুপোলির মিশেলে বানানো শেরওয়ানিতে। পাজামা ছিল ধবধবে সাদা রঙের। পায়ে ছিল সাদা রঙের স্নিকার্স।
১৬২২
দেওরের বিয়েতে শ্লোকা পরেছিলেন লাল-গোলাপির মিশেলে তৈরি, জারদৌসি কাজ করা লেহঙ্গা। যে লেহঙ্গা পরে তাঁর বিয়ে হয়েছিল আকাশ অম্বানীর সঙ্গে, সেটির রং ছিল লাল। সেই পোশাকটিকেই আবার নতুন করে সাজিয়ে তুলেছেন পোশাকশিল্পী আবু জানি এবং সন্দীপ খোসলা।
১৭২২
জমকালো লেহঙ্গার সঙ্গে খুব ভারী গয়না দেখতে ভাল লাগে না। তাই শ্লোকাও সেই সূত্র মেনে গলায় হালকা হিরে এবং পান্নাখচিত হার, কানে ঝোলা দুল, মাঙ্গটিকা পরেছিলেন। কোমরে ছিল হিরের কোমরবিছে।
১৮২২
ননদিনী ঈশা অম্বানী পিরামল ভাইয়ের বিয়েতে পরেছিলেন প্যাস্টেল শেডের গোলাপি, হলুদ এবং কমলা রঙের মিশেলে তৈরি লেহঙ্গা। সেই পোশাকের উপরে ছিল সোনালি জরি দিয়ে ঠাসা জারদৌসি কাজ।
১৯২২
পোশাকশিল্পী আবু জানি এবং সন্দীপ খোসলার নকশা করা লেহঙ্গার সঙ্গে ছিল গলা ভরাট হিরে্র নেকলেস, কানে মানানসই দুল, চুড়ি, আংটি এবং মাঙ্গটিকা। হালকা মেকআপ, চোখে ঘন কাজল, ঠোঁটে ন্যুড লিপস্টিক এবং ভুরুর মাঝে ছোট্ট টিপ। ব্যস, এই সাজেই হাজার হাজার লোকের মাঝে সকলের নজর কেড়েছিলেন তিনি।
২০২২
ঈশার স্বামী, অম্বানী বাড়ির জামাই আনন্দ পিরামলের পরনে ছিল হালকা গোলাপি রঙের সিল্কের কুর্তা-পাজামা। তার উপর রুপোলি জরির কাজ করা গলাবন্ধ জ্যাকেটও পরেছিলেন তিনি।
২১২২
অনন্তের দিদিমা অর্থাৎ নীতা অম্বানীর মা পূর্ণিমা দলালকেও দেখা গিয়েছিল ছোট নাতির বিয়েতে। প্যাস্টেল গোলাপি এবং কমলা রঙের মিশেলে তৈরি সিল্কের শাড়ি পরে নাতির বিয়েতে এসেছিলেন তিনি। শাড়ির পাড় জুড়ে ছিল ঠাসবুনোট সোনালি রঙের জরির কাজ। তাঁর সাজেও ছিল হিরের দ্যুতি।
২২২২
অনন্তের মাসি মমতা দলাল। মিষ্টি গোলাপি রঙের শাড়িতে তাঁকেও মানিয়েছিল বেশ। জর্জেট বা ক্রেপ জাতীয় শাড়িটির পাড় জুড়ে ছিল রুপোলি জারদৌসি কাজ। হিরে এবং পান্নাখচিত গয়নায় মমতার সাজেও ধরা পড়ছিল পরিবারের বৈভব।