৪৫ বছর বয়সের নীচের মহিলাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা ব্যথায় ভোগান্তির মতো পরিস্থিতি। ফাইল চিত্র
প্রতিষেধক নেওয়ার পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। তবে তা ব্যক্তি বিশেষে হচ্ছে এক-এক ধরনের। একই টিকা নিয়ে হয়তো বা পঞ্চাশের মহিলা জ্বরে কাবু, আবার তাঁর সত্তর পেরোনো মায়ের হাতে হাল্কা ব্যথা।
কী ভাবে এমন পার্থক্য দেখা যায় প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে?
গবেষকেদের বক্তব্য, বয়স এবং লিঙ্গ ভিত্তিক পার্থক্য যথেষ্ট নজরে পড়ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বয়স্কদের তুলনায় কম বয়সিদের বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকছে। জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা, হাত ব্যথার মতো সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে কম বয়সিদের মধ্যেই। তার মধ্যে ৪৫ বছর বয়সের নীচের মহিলাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা ব্যথায় ভোগান্তির মতো পরিস্থিতি।
বয়স্কদের মধ্যে কম কেন প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?
বয়সের সঙ্গে শরীরের প্রতিরোধশক্তি কমে বলে বক্তব্য বিজ্ঞানীদের। ফলে প্রতিষেধক নেওয়ার পরে কম বয়সিদের শরীর যত তাড়াতাড়ি তাতে সাড়া দেয়, বয়স্কদের ক্ষেত্রে দেয় না। সময় নেয়। তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম দেখা যাচ্ছে।
৫০-এর নীচের বয়সের মানুষদের শরীরের প্রতিরোধশক্তি সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই টিকাকরণ পরবর্তী সমস্যাও বেশি দেখা দিচ্ছে এই বয়সের মানুষদের মধ্যে।
৬৫-এর উপরের মানুষদের কি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকছে না? তেমন নয়। তবে কম বয়সে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তীব্রতা দেখা যাচ্ছে অনেক প্রবল ভাবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ক্লান্তি, হাঁটু ও হাতে ব্যথা, জ্বর থাকছে বেশ কয়েক দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy