Advertisement
E-Paper

Ratan Tata: ‘আমি রতন টাটা বলছি, আমরা কি দেখা করতে পারি?’, এক ফোনেই বদলে গেল তরুণ-তরুণীর ভাগ্য

একটি ফোন আর সাক্ষাতের সুযোগেই বদলে গেল সংস্থার ভবিষ্যৎ। রতন টাটা তাঁদের সঙ্গে শুধু সাক্ষাৎই করলেন না, এই সংস্থায় মোটা অঙ্কের বিনিয়োগও করলেন।

রতন টাটার সঙ্গে একটি সাক্ষাতেই বদলে গেল জীবন!

রতন টাটার সঙ্গে একটি সাক্ষাতেই বদলে গেল জীবন!

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২২ ১৪:০৮
Share
Save

‘আমি রতন টাটা বলছি, আমি তোমার চিঠি পেয়েছি। আমরা কি দেখা করতে পারি’? এমন এক মানুষের অপ্রত্যাশিত ফোন যদি আপনার কাছে আসে তা হলে কেমন হয়?

গল্প নয়, সত্যি! পুণে নিবাসী এক স্টার্টআপ সংস্থার দুই কর্ণধারের স্বপ্ন ছিল দেশের অন্যতম বড় শিল্পপতি রতন টাটার সঙ্গে দেখা করার। কিন্তু সে কথা যখন তাঁরা প্রকাশ করেছিলেন, আশপাশের সকলেই একবাক্যে বলেছিলেন, ‘‘অসম্ভব।’’ তবে স্বপ্নকেই বাস্তব করে দেখালেন রেপোজ এনার্জি নামক স্টার্টআপ সংস্থার দুই কর্ণধার। একটা ফোন আর সাক্ষাতের সুযোগেই বদলে গেল সংস্থার ভবিষ্যৎ। রতন টাটা তাঁদের সঙ্গে কেবল সাক্ষাৎই করলেন না, এই সংস্থায় মোটা অঙ্কের বিনিয়োগও করলেন।

স্টার্টআপটি ‘মোবাইল ইলেকট্রিক চার্জিং ভেহিক্‌ল’ চালু করেছে। এই স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা অদিতি ভোঁসলে ওয়ালুঞ্জ এবং চেতন ওয়ালুঞ্জ জানিয়েছেন কী ভাবে, তাঁদের ভাগ্য বদলে গেল।

বেশ কিছু বছর আগে যখন অদিতি ও চেতন সংস্থাটি তৈরি করেন, তখন থেকেই তাঁদের স্বপ্ন ছিল রতন টাটাকে মেন্টর হিসাবে পাওয়ার। তাঁদের কর্মক্ষেত্রে ওঁর চেয়ে আদর্শ গুরু আর কেউ-ই হতে পারে না। সবাই এই কথা শুনে বলেছিলেন, ওঁর সঙ্গে দেখা করা অসম্ভব। যদিও এতে থেমে থাকেনি স্টার্টআপ। বরং ধীরে ধীরে নিজের লক্ষ্যে এগোতে থাকে।

রতন টাটার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা তাঁদের ছিলই। সে কারণে, তাঁরা চিঠিও লেখেন। কিন্তু তাতে উত্তর না পেয়ে অদিতি ও চেতন রতন টাটার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছন। দু’জনেই প্রায় ১২ ঘণ্টা বাড়ির বাইরে অপেক্ষাও করেন। যদিও এর পরেও তাঁরা দেখা পাননি। তবে তখন দেখা না পেলেও হোটেলে ফিরে চমকে যান তাঁরা। হোটেলে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, ‘‘হ্যালো, আমি কি অদিতির সঙ্গে কথা বলতে পারি?’’ এর উত্তরে অদিতি জানতে চান, ‘‘আপনি কে বলছেন?’’ তখন ফোনের ওপ্রান্ত থেকে উত্তর আসে, ‘‘আমি রতন টাটা বলছি, তোমার চিঠি পেয়েছি, আমরা কি দেখা করতে পারি?’’ অসম্ভবকে সত্যি হতে দেখে বিস্মিত অদিতি!

পরের দিন ফের রতন টাটার বাড়িতে পৌঁছান তাঁরা। ঠিক সকাল ১১টায় টাটার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁদের। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে মিটিং। রতন টাটা নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কী ভাবে তাঁদের সংস্থা আরও উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারে সেই টিপ্‌সও দিলেন। ২০১৯ সালে ও ২০২২ সালে এই স্টার্টআপ টাটা গ্রুপ থেকে পুঁজিও বিনিয়োগ হিসেবে পায়।

Ratan Tata Start Up

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}