প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
করোনাকালে আমরা এমনিই আগের তুলনায় পরিচ্ছন্নতায় বেশি নজর দিই। হাত ধোয়া, হাত স্যানিটাইজ করা, মুখ ধোয়া, ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখা, যে কোনও ধাতব জিনিস স্যানিটাইজ করার অভ্যাসগুলি তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রোগ-জীবাণু তা-ও কোনও না কোনও উপায় পৌঁছে যাচ্ছে আমাদের কাছে। কী করে? একটু খুঁটিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন আমাদের কিছু বদঅভ্যাসের কারণেই এমনটি সম্ভব হয়। তার মধ্যে অন্যতম এক— তোয়ালে বা গামছা বার বার ব্যবহার করা।
অনেকেই স্নান করে গামছা দিয়ে গা মুছে বেরিয়ে আসেন। ভিজে গামছা মেলে দেওয়া হয় বটে। কিন্তু রোজ গামছা কাচার কথা মনে থাকে না বেশির ভাগেরই। তোয়ালের ক্ষেত্রেও তাই। কেউ সপ্তাহে একদিন কাচেন, কেউ আরও কম বার। বিশেষ করে বর্ষায় তোয়ালে কাচার দিকে কেউ ঝোঁকেন না। কারণ শুকোতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। কিন্তু এতে বিপদ অনেক বাড়ে।
আমরা যখন বাইরে থেকে আসি, আমাদের শরীরে অনেক ধরনের জীবাণু থাকে। সেগুলি আমাদের ত্বকে আটকে থাকে। স্নান করার পরও কিছু কিছু জীবাণু লেগে থাকে ত্বকে। গা মোছার সময়ে গামছায় লেগে যায় সেগুলি। ভিজে তোয়ালে বা গামছায় ব্যাকটিরিয়া জন্মানোর সেরা জায়গা। তাই আপনার না কাচা গামছায় অনেক বেশি জীবাণু থাকার সম্ভাবনা থাকে। আশঙ্কা বাড়ে যদি আপনি পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে একই গামছা ব্যবহার করেন।
এক তোয়ালে বার বার ব্যবহার করলে তাতে মৃত ত্বকের কোষ এবং ধুলো ময়লা জমতে থাকে। যেগুলি ফের ত্বকে গিয়ে ত্বকের খোলা ছিদ্রগুলি আটকে দেয়। অ্যকনের মতো সমস্যা তখনই বেড়ে যায়। আবার একজেমা, র্যাশ বা রিঙ্গওয়র্মের মতো ত্বকের সমস্যাও তৈরি হতে পারে। ত্বকে আগে থেকেই কোনও সমস্যা থাকলে নোংরা তোয়ালে উপসর্গগুলি আরও গুরুতর করে তুলতে পারে।
কত ঘন ঘন তোয়ালে-গামছা কাচবেন
সুরক্ষিত থাকার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, ঘন ঘন তোয়ালে ধুয়ে নেওয়ার। তিন বার ব্যবহার করা হয়ে গেলে তোয়ালে কেচে নেবেন। তোয়ালে সম্পূর্ণ শুকিয়ে না গেলে ফের ব্যবহার করবেন না। যদি বর্ষায় সমস্যা হয়, তা হলে গামছা ব্যবহার করুন। তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy