খেটেখুটে বাড়ি এসে হাত-পা ধুয়ে নিজের বিছানায় গা মেলে দেওয়ার মতো আরামের আর কী-ই বা হতে পারে! কিন্তু আপনার বিছানার চাদর যদি সেই আরামে বাধা হয়ে দাঁড়ায়? অপরিষ্কার চাদরে কি আর সেই আনন্দ আছে, যা আছে হালকা সাবান বা ন্যাপথলিনের গন্ধযুক্ত মোলায়েম চাদরে পাবেন? আলস্যের জন্য এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়া উচিত নয়।
দিনের অন্তত আট ঘণ্টা বিছানায় ব্যয় করেন। তা সে ঘুমন্ত অবস্থায় হোক বা ঘুমের চেষ্টায় অথবা বিশ্রামে থাকাকালীন। সেই স্থানটিই যদি জীবাণু, ধুলো, ঘাম, মৃত ত্বকের টুকরোয় ভরা থাকে? সব সময় চোখে না পড়লেও অনেক দিন না ধোয়া চাদরে বাস করে এগুলিই। শুনেই ঘেন্না হচ্ছে তো?
তা হলে জেনে নিন, কত দিন অন্তর বিছানার চাদর বদলানো উচিত। সেই সঙ্গে বালিশের কভার পাল্টানোর উপযুক্ত ব্যবধানও জেনে নেওয়া দরকার।

অপরিষ্কার বিছানা থেকে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকার গুড হাউসকিপিং ইনস্টিটিউট হোম কেয়ার অ্যান্ড ক্লিনিং ল্যাবের ডিরেক্টর ক্যারোলাইন ফোর্ট বলছেন, ‘‘সপ্তাহে এক বার করে বিছানার চাদর পাল্টে নিয়ে সাবান দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। যদি খুব ব্যস্ত থাকেন, সে ক্ষেত্রে বড়জোর দু’সপ্তাহের মধ্যে বদলে ফেলতেই হবে। নয়তো রাতের পর রাত, আপনার চাদরে জীবাণু, মৃত চামড়া, ঘাম, ক্ষেত্রবিশেষে পোষ্যের লোম জমা হবে বিছানার চাদরে। অ্যালার্জি, হাঁপানি, ত্বকে জ্বালা, ব্রণের মতো সমস্যা বাড়তে পারে।’’
আরও পড়ুন:
তা ছাড়া বালিশের কভারও সময়মতো বদলে ফেলা উচিত। বিছানার চাদর পাল্টাতে দেরি হলেও বালিশের ক্ষেত্রে তা-ও করা উচিত নয়। সপ্তাহে অন্তত এক বার করে বালিশে নতুন ধোয়া কভার পরাবেন। মুখ এবং চুল থেকে তেল, ময়লা, ব্যাক্টেরিয়া, ঘাম, এমনকি লালাও জমা হয় বালিশে। সেগুলি মুখের ভিতর প্রবেশ করে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
সপ্তাহে এক বার করে অন্তত হালকা গরম জলে চাদর এবং বালিশের কভার ধুয়ে ফেলুন। নিয়মমতো পাল্টে ফেলুন বিছানার সজ্জা।