Advertisement
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
Empathy

অন্যের প্রতি সহমর্মিতা দেখালে বাড়তে পারে বিপদ! কেন এ কথা বলল সমীক্ষা?

ছোট থেকে যা শেখানো হয় অন্যের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করতে। কিন্তু জানেন কি এই সহমর্মিতারও ‘অন্ধকার’ একটি দিক আছে?

জানেন কি সহমর্মিতারও একটি ‘অন্ধকার’ দিক রয়েছে?

জানেন কি সহমর্মিতারও একটি ‘অন্ধকার’ দিক রয়েছে? প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৩৭
Share: Save:

সমাজে বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন মানসিকতার মানুষ বসবাস করেন। সকলের সঙ্গে সমান ভাবে মিলেমিশে থাকতে গেলে কিছু শিক্ষা ছোট থেকেই দিতে হয়। নানা রকম সহবৎও শেখানো হয়। অন্যের কষ্টে সমব্যথী হতে শেখানো হয়। শেখানো হয় অন্যের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করার কথাও। কিন্তু জানেন কি এই সহমর্মিতারও ‘অন্ধকার’ একটি দিক আছে?

মনোবিদরা জানাচ্ছেন, অন্যের শোকে কাতর হওয়ার মধ্যেও অদ্ভুত এক আনন্দ আছে। সহমর্মিতা মানুষের মনে তেমনই প্রভাব ফেলে। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা বলছেন নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তি কার কষ্টে কষ্ট পাবেন, তার-ও কিন্তু ব্যাখ্যা আছে। অন্যের কষ্ট বা মনের অনুভূতিকে তাঁরা নিজের জীবনের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেন। সকলের দুঃখেই যে তাঁরা দুঃখিত হবেন, তার কিন্তু কোনও মানে নেই। একই রকম কষ্ট বা দুঃখের অনুভূতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের মধ্যে একটি দলও তৈরি করে ফেলেন।

এই সহমর্মিতাই কখনও কখনও উল্টো দিকের দলটির বিপক্ষে যাঁরা থাকেন, তাঁদের জন্য ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। যার প্রভাব কিন্তু সুদূরপ্রসারী। মানুষ, সমাজ, দেশের গণ্ডী পেরিয়ে এই সহমর্মিতাই তখন যুদ্ধের অন্যতম একটি ‘হাতিয়ার’ হয়ে ওঠে।

কারও পক্ষ নিয়ে কথা বলা বা তাঁর কষ্টে কষ্ট পাওয়ার মানে মুখে না বললেও উল্টো দিকের মানুষটিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। তা হলে কি সহমর্মিতা দেখানো অন্যায়?

চিকিৎসক এবং মনোবিদদের বক্তব্য, কারও সঙ্গে নিজের মনের কথা আলোচনা করা, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়া অন্যায় নয়। আবার ঠিক তেমনই অন্যের দুঃখের কথা শুনে তাঁকে মানসিক জোর দেওয়াও ভুল নয়। তবে অন্যের কষ্ট বোঝা এবং নিজেকে সেই জায়গায় বসিয়ে দেওয়ার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। সেই ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ লঙ্ঘন করে ফেললেই কিন্তু বিপদ।

অন্যের অবসাদ যদি আপনার মনের ঘরের দখল নেয় এবং দৈনন্দিন জীবনে তার প্রভাব পড়ে, তা একেবারেই সুখকর হবে না। অন্যের পাশে দাঁড়ানোর পরও ঠিক কতটা দূরত্ব রাখতে হবে, তা না জানলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না।

অন্য বিষয়গুলি:

Empathy Mental Stress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy