—প্রতীকী ছবি।
কাজের সুবিধার জন্য আগের রাতে ভাত রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেন অনেকেই। অফিস যাওয়ার আগে তাড়াহুড়োতে সেই ভাতই মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেয়ে আসছেন এত দিন। কিন্তু এ বার সত্যিই মনে ভয় ধরাচ্ছে ফ্রায়েড রাইস সিনড্রোম। ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত এই সিনড্রোম নিয়ে সরগরম সমাজমাধ্যম। পাঁচ দিন আগের রান্না করে রাখা বাসি পাস্তা গরম করে খাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছিল এক তরুণের। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, এই ফ্রায়েড রাইস সিনড্রোমই তাঁর মৃত্যুর কারণ। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আগের দিনের রান্না করে রাখা অর্থাৎ, বাসি ভাত থেকেও একই রকম বিপত্তি ঘটতে পারে। কিন্তু গেরস্থ বাড়িতে একেবারে হাতের মুঠো মেপে কে আর ভাত রান্না করেন? সামান্য হলেও প্রতি দিনই বেঁচে যায়। তা ফ্রিজের মধ্যে ভরে রাখেন। কিন্তু ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ থেকে বাঁচতে ভাত কী ভাবে সংরক্ষণ করবেন তা জানা আছে?
রান্না এবং সংরক্ষণ
অনেকেই মনে করেন গরম জলে চাল ফুটলে তখনই অর্ধেকের বেশি ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। তা কিছু ক্ষেত্রে সঠিক হলেও ‘ব্যাসিলাস সেরেয়াস’ নামক ব্যাক্টেরিয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী নয়। তাই চাল ধোয়ার সময় থেকেই সতর্ক হতে হবে।
১) ভাল করে হাত জীবাণুমুক্ত করে তার পর চাল ধুতে শুরু করুন।
২) চাল ধোয়া হয়ে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে তা হাঁড়ির ফুটন্ত জলে দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু গ্যাসের আঁচ রাখতে হবে একেবারে ঢিমে।
৩) রান্না করা ভাত যতটুকু প্রয়োজন খেয়ে নিয়ে বাকি অংশটুকু ঠান্ডা হতে দিন।
৪) এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ভাত যেন এতটুকুও না গরম থাকে। হাতে রাখা ভাতের পাত্রটি সামান্য গরম ঠেকলেও সময়ের অভাবে ফ্রিজে তুলে দেন অনেকেই। এই ভুলটি করা যাবে না।
৫) ফ্রিজে রাখা ভাত যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই আলাদা একটি পাত্রে নিয়ে অভেনে গরম করে নিন। মূল বাটি-সহ ভাত পুরোটা অভেনে গরম করার প্রয়োজন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy