কাজের চাপ সামলাতে না পেরে মাঝেমাঝেই ভেঙে পড়ছেন। কয়েকটি জিনিস আপনি যদি গুছিয়ে উঠতে পারেন, তা হলে কাজের চাপ অনেকটা হালকা হয়ে যায়।
করোনা-স্ফীতিতে ফের বাড়ি থেকে কাজ করছেন অনেকেই। এই পর্যায়ে করোনাভাইরাস অনেক বেশি সংক্রমক। আমাদের চার পাশে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তদের সংখ্যা। তাই একাধিক সহকর্মী একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাকিদের হঠাৎই কাজের চাপ অনেক বেড়েছে। অনেক বেশি সময় দিতে হচ্ছে অফিসের কাজের পিছনে। এ দিকে বাড়ি থেকে কাজ বলে সংসারও কিছুটা কাজকর্মও দেখতে হচ্ছে পাশাপাশি। সব মিলিয়ে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ছে। অনেকেই এতটা কাজের চাপ সামলাতে না পেরে মাঝেমাঝেই ভেঙে পড়ছেন। গোলমাল হয়ে যাচ্ছে রোজের কাজেও। কিন্তু কয়েকটি জিনিস আপনি যদি গুছিয়ে উঠতে পারেন, তা হলে কাজের চাপ অনেকটা হালকা হয়ে যায়। উপায়গুলি জেনে নিন।
পরিকল্পনা করুন
কখন কী করবেন, কখন জুম মিটিং রয়েছে, কখন কাকে ফোন করতে হবে, কোন দিনে বিশেষ কাজ রয়েছে, সেগুলি শুরুতেই একটি জায়গায় লিখে রাখলে আপনি অনেকটা চিন্তামুক্ত হবেন। গুগ্ল ক্যালেন্ডারের মতো কোনও মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় মনে করিয়ে দেবে কোন কাজটা বাকি। কবে কোন গুগ্ল মিটিং রয়েছে, তা আপনার ই-মেল থেকে সরাসরি চলে যাবে ক্যালেন্ডারে। আপনাকে আলাদা করে কিছু করতে হবে না।
কাজের শেষে মিলিয়ে দেখুন
শুধু ক্যালেন্ডার কী কী কাজ রয়েছে, সেটা লিখলেই হবে না। আপনাকে সে ভাবে কাজগুলি শেষও করতে হবে। মাঝেমাঝে ক্যালেন্ডার খুলে দেখুন কোন কাজগুলি বাকি। প্রত্যেক দিন কাজ শেষ করার আগে কিছুটা সময় বরাদ্ধ করে রাখুন দিনের কোন কাজগুলি বাকি থেকে গেল, সেটা দেখার জন্য। যেগুলি করা হয়নি, পরের দিনের ক্যালেন্ডারে তা লিখে রাখুন।
কাজ সাজিয়ে নিন
একসঙ্গে অনেক কাজ করলে, আপনার ইমেলের ইনবক্স দ্রুত ভরে যায়। দরকারের সময় কাজের ইমেল খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। আপনার ইমেল এ একটা ‘কালার কোডিং’ এর ব্যবস্থা রয়েছে। মানে একেকটা কাজ আপনি আলাদা করার জন্য একটা রং দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারবেন। ধরুন বসের সব মেল সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করলেন। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার ইমেলগুলি লাল, সহকর্মীদের ইমেল হলুদ— এই রকম। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের প্রত্যেকটা জরুরি ডকুমেন্ট আলাদা ফোল্ডার করে সাজিয়ে রাখুন। সব একসঙ্গে হোম স্ক্রিনে রাখবেন না।
কাজ ভাগ করে নিন
সব কিছু একা একসঙ্গে করতে যাবেন না। প্রত্যেকটা কাজ ভেঙে ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন। সেই মতো কাজ এগনোর চেষ্টা করুন। যদি একা সব না পারেন, তা হলে বাকি সহকর্মীদের আপনার সমস্যার কথা বলুন। জরুরি ভিত্তিতে অনেকেই হয়তো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।
সব একসঙ্গে শেষ করতে যাবেন না
হয়তো জরুরি ভিত্তিতে অনেকের অনুপস্থিতিতে আপনার একার ঘাড়ে বেশি কাজ পড়ে গিয়েছে। কিন্তু মনে রাখবেন, তিন-চার জনের কাজ কখনও একজনের পক্ষে সমান দক্ষতা নিয়ে করা সম্ভব নয়। তাই কোন কাজটি জরুরি, কোনটা পরে করলেও চলবে, কোনটা না করলে চলবে, সেটা বুঝে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সেই অনুযায়ী কিছু কাজ বেছে নিয়ে সেগুলি ঠিকমতো করার চেষ্টা করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy