গাছে জল দেওয়ার নিয়মকানুন। ছবি: সংগৃহীত।
ছাদে, বাগানে, ব্যালকনিতে ফুলের গাছ রাখলে মনের আরাম, প্রাণের শান্তি। তবে শুধু তো শান্তি পেলে চলবে না, গাছেরও পর্যাপ্ত পরিচর্যা প্রয়োজন। ঠিক মতো জল, আলো, সার না পেলে গাছ বিকশিত হতে পারে না। অনেক সময় আলো কিংবা সারের চেয়ে জলের হেরফেরে গাছ মারা যায়। ঋতুভেদে গাছে জল দেওয়ার পরিমাণে নানা তারতম্য দেখা যায়। তবে অনেকেই জানেন না, টবের ধরন এবং উপকরণের উপরে নির্ভর করে গাছে জল দেওয়ার পরিমাণ।
১) মাটির টব সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। মাটির টব ছিদ্রযুক্ত হওয়ায়, অক্সিজেন চলাচল ভাল হয়। যা তরতাজা গাছের জন্য জরুরি। কিন্তু মাটির টব জল শুষে নেয় তাড়াতাড়ি, তাই জল নিয়মিত দিতে হবে। গরমে সকাল-বিকাল দু’বার জল দিতে হবেই। মাটির টবের সুবিধা বোঝা যায় বাড়ি না থাকলে। সে সময়ে মাটির টবের গাছগুলি জলপূর্ণ বড় পাত্রে বসিয়ে গেলে অন্তত এক সপ্তাহ দিব্যি বেঁচে থাকে। মাটির দেওয়াল জল শুষে নিয়ে গাছকে আর্দ্র রাখে। এই সুবিধা কিন্তু প্লাস্টিক, সেরামিক বা ধাতুর টবে নেই।
২) প্লাস্টিকের টবে ছিদ্র না থাকায় বায়ু চলাচল ঠিক মতো হয় না। এই একই কারণে জল শোষণের গতিও কম। তাই মাটির টবে রাখা কোনও গাছে যে পরিমাণ জল দিতে হবে, তার চেয়ে জলের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে প্লাস্টিকের টবে সেই গাছটি রাখলে। না হলে গাছ অল্প দিনেই শুকিয়ে যাবে।
৩) সেরামিকের টবেও জল দ্রুত শুকিয়ে যায় না, তাই বুঝে জল দিতে হবে। মোটা বাঁশ কেটে তার খোলে গাছ বাসানো যায়, বিশেষ করে লতানো গাছ, কিন্তু এ ক্ষেত্রে জল নিষ্কাশনের জন্য তলায় ছিদ্র করে নিতে হবে। তা হলে আর সমস্যা হবে না।
৪) বাঁশ বা বেত দিয়ে তৈরি টবে সরাসরি গাছ বসানোর আগে, একটা প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ভিতরটা মুড়িয়ে নিতে হবে। না হলে বাঁশ বা বেতের ফাঁক দিয়ে জল ও মাটি বেরিয়ে যেতে পারে। প্লাস্টিকের জন্য জল সংরক্ষণ হবে, মাটি দ্রুত শুকিয়ে যাবে না, কিন্তু হাওয়া চলাচলের সমস্যা থেকেই যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy