বাড়ি ভর্তি আসবাব, দেওয়ালের জমকালো রং একঘেয়ে লাগতেই পারে। নতুন নতুন জিনিস কিনে ঘর ভরিয়ে ফেলার পর, এখন হয়তো মনে হচ্ছে অন্দরসাজ ছিমছাম হলেই ভাল হত। ঘরের সাজসজ্জা তো প্রায়ই বদলানো হয়, যদি নতুনত্ব কিছু চান, তা হলে জাপানিদের অন্দরসজ্জার কৌশল থেকে কিছু ভাবনা ধার করতেই পারেন। জাপানিদের ঘরদোরের সাজ কিন্তু খুব জমকালো নয়। দেওয়ালে হালকা রং, অল্প আসবাবেই নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করেন তাঁরা।
ধরা যাক বসার ঘরটি নতুন করে সাজাতে চাইছেন। অতিথিরা এলে মুগ্ধ হবেন, এমন কিছু ব্যতিক্রমী ভাবনাও থাকবে তাতে। সবচেয়ে আগে দেওয়ালের রঙে বদল আনতে হবে। সাদা, বেজ, হালকা ধূসর বা হালকা অলিভ রং করতে পারেন দেওয়ালে। রং যত হালকা হবে, ততই ঘর অনেক বেশি খোলামেলা লাগবে।

অন্দরসাজে নীচু আসবাব ও ঝুলন্ত আলোর ব্যবহারই বেশি। ছবি: ফ্রিপিক।
কম উচ্চতার আসবাব
জাপানিদের বাড়িতে যে আসবাবগুলি রাখা হয়, সেগুলির উচ্চতা কিন্তু কম। এতে ঘরে জায়গা অনেক বেশি মনে হয়। কম উচ্চতার টেবিল বা ফ্লোর কুশন বেশি ব্যবহার করেন জাপানিরা। নিচু কাঠের টেবিল, মেঝেতে ‘তাতামি’ বা ফ্লোর ম্যাটের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। এখন অনেক বাঙালিও বসার ঘরে ‘তাতামি’-র মতো রাগ পাতেন। এগুলি আকারে গালিচার চেয়ে সামান্য ছোট হয়। চেয়ার বা টেবিলের নীচে অথবা সোফা সেটের নীচে পাতার জন্য বেছে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন:
ঘর সাজাতে প্রাকৃতিক উপকরণ
কাঠ বা বাঁশের আসবাবই বেশি দেখা যায় জাপানিদের ঘরে। রুম ডিভাইডার হিসেবে তাঁরা ব্যবহার করেন ‘শোজি স্ক্রিন’ যা রাইস পেপার শিট ও কাঠের ফ্রেম দিয়ে তৈরি করা হয়। দরজা ও জানলাতেও এর ব্যবহার দেখা যায়।

শোজি স্ক্রিন। ছবি: ফ্রিপিক।
আলোর ব্যবহার
খুব জোরালো আলো নয়, বরং কাঠের লণ্ঠন, পেন্ডেন্ট লাইটের ব্যবহারই বেশি দেখা যায় জাপানিদের ঘরে। নানা রকম ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন ঘরে। বাঁশ বা কাঠের ল্যাম্পশেড ভাল লাগবে। অথবা ঝুলন্ত ল্যাম্পশেডও রখা যেতে পারে। এগুলি ঝুলিয়ে দিতে হবে ঘরের ছাদ থেকে। ফ্যাব্রিক আলোও লাগাতে পারেন। তাতেও ঘরের সাজে বদল আসবে।