উপহারেও থাকুক শৈল্পিক ছোঁয়া। ছবি: সংগৃহীত
ঘরের শোভা বৃদ্ধি করতে মোমবাতির কোনও জুড়ি নেই। অল্প খরচে অন্দরের ভোলবদল করে দিতে পারে কয়েকটি মোমবাতি। কিছু মানুষ আছে যাঁরা খুব শৌখিন, ঘর সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে খুব পছন্দ করেন। তাঁদের পছন্দের ঘর সাজানোর উপকরণ কিন্তু মোমবাতি। হরেক রকম আকারের বাহারি রঙের মোমবাতি অন্দরের সাজে আনতে পারে শৈল্পিকতার ছোঁয়া। ইদানীং সুগন্ধি মোমবাতির চাহিদা তুঙ্গে। অনলাইনে এমন মোমবাতির রমরমা তুঙ্গে, দামও আকাশ ছোঁয়া। সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সুগন্ধি মোমবাতি। কী ভাবে কম খরচে বাড়িতে সুগন্ধি মোমবাতি তৈরি করবেন, রইল তার হদিস।
১) প্রথমে যে আকারের মোমবাতি বানাতে চাইছেন, সে মাপের একটি পাত্র বা কাচের পাত্র জোগাড় করুন।
২) তার পর সেই পাত্রে কী পরিমাণ মোম ধরবে, সেটা দেখে নিয়ে তার দ্বিগুণ পরিমাণে মোম সংগ্রহ করে রাখুন।
৩) একটি বড় পাত্রে জল গরম করুন। এ বার আর একটি বাটিতে পরিমাণ মতো মোম নিয়ে সেই বাটিটা গরম জলের পাত্রের উপর রেখে আঁচটা বাড়িয়ে দিন। মোমাটা যখন গলতে শুরু করবে, তখন বার বার নাড়াতে হবে, যাতে মোমটা জমাট বেঁধে না যায়।
৪) মোম যখন পুরোপুরি গলে যাবে, তখন তাতে পছন্দ মতো সুগন্ধি তেল দিয়ে দিন এবং ক্রমাগত নাড়িয়ে যান মিশ্রনটি। তেল যেন মোমের সঙ্গে ভাল ভাবে মিশে যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
৫) এ বার যে পাত্রে মোম ঢালবেন, সেই পাত্রে সলতে লাগিয়ে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সলতের কোনও একটি দিক কিছু সময় গলানো মোমের মধ্যে রেখে সঙ্গে সঙ্গে সেটি কাচের পাত্রের ভিতরে বসিয়ে দিন। মিনিট খানেকের মধ্যেই মোম জমে যাবে। সলতের অপর প্রান্তটি পাত্রের বাইরে বার করে রাখুন।
৬) সলতে লাগানো হয়ে গেলে ধীরে ধীরে অর্ধেক তরল মোম পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। এ সময়ে সলতের উপর থেকে ধরে রাখবেন, যাতে সেটি একেবারে সোজা থাকে।
৭) মোম ঢালা হয়ে গেলে পাত্রটি চার ঘণ্টা একই ভাবে রেখে দিতে হবে। সময় হয়ে গেলে বাকি মোম পুনরায় পাত্রে ঢেলে আরও কিছু ক্ষণ আপেক্ষা করতে হবে।
কেবল ঘর সাজাতেই নয়, নিজের হাতে এই প্রকার মোম তৈরি করে উপহারও দেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে কাচের পাত্রের গায়ে ইচ্ছে মতো নকশা করে নিতে পারেন কিংবা ফিতে আর লেস দিয়েও সাজাতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy