কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলেই সহজেই ঘর গুছিয়ে নিতে পারবেন পুরুষরাও। —প্রতীকী ছবি।
ঘরদোর গোছানোর ব্যপারে মহিলাদের সুনাম থাকলেও, সাধারণত পুরুষদের দিকে অগোছালো বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও সকলেই সমান নন। অনেক পুরুষই বেশ গোছানো। তবে, যে বাড়িতে পুরুষরা একলা থাকেন, সেই সমস্ত বাড়ি সাধারণত অগোছালো হয় বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।
অবশ্য সহজ কয়েকটি পদ্ধতি মানলে, পুরুষরাও তাঁদের ঘর ও জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে পারবেন। এতে শুধু ঘরটাই পরিচ্ছন্ন লাগবে, তা নয়। অফিসে বার হওয়ার সময় হাতের কাছে জামাকাপড় থেকে কাগজপত্র, সবই চট করে পেয়ে যাবেন।
খাট
ঘরদোর সহজে গুছিয়ে রাখতে সঠিক আসবাব জরুরি। খাটের সঙ্গে যদি জিনিসপত্র রাখার জন্য বক্স থাকে তাহলে খুব সুবিধা হবে। এখনকার অনেক খাটেই জিনিসপত্র রাখার সুযোগসুবিধার জন্য ড্রয়ার দেওয়া থাকে। খাটের নীচে জিনিসপত্র রাখার জন্য ড্রয়ারের পাশাপাশি অর্ধেক জায়গা ‘হাইড্রোলিক সিস্টেমে’ তুলে দিয়ে তার মধ্যে লেপ-কম্বল, বাড়তি জিনিস রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন। প্রতি দিন যদি বিছানা, চাদর ভাঁজ করতে না-ও পারেন, ড্রয়ারে সে সব ঢুকিয়ে দিয়ে বিছানার চাদরটা টানটান করে দিলেই দেখতে ভাল লাগবে।
জামাকাপড় ঝুলিয়ে রাখুন
এমন ওয়ার্ড্রোব কিনতে পারেন বা তৈরি করিয়ে নিতে পারেন, যাতে হ্যাঙ্গারে সহজেই জামাকাপড় ঝুলিয়ে রাখা যায়। এতে জামাকাপড় গোছানোর ঝক্কি কিছুটা কমবে। তবে শুধু ঝুলিয়ে রাখতে গেলে অনেকটাই জায়গা লাগবে। তবে টি-শার্ট, অন্তর্বাস-সহ যে সমস্ত জামাকাপড় রোজ লাগে না, সেগুলি ওয়ার্ড্রোবেই ড্রয়ার তৈরি করে বা তাকে ভাঁজ করে তুলে রাখতে পারেন। সবচেয়ে সুবিধা হবে, যদি কোথায়, কোনটা রাখবেন, তার জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করা থাকে। গোছানো জিনিস থেকে কোনও বিশেষ পোশাক খুঁজতে গিয়ে বা বার করতে গিয়ে সাধারণত জামাকাপড় এলোমেলো হয়ে যায় । তাই নিত্য অফিস যাওয়ার থাকলে আগে থেকেই জামাকাপড় কাচিয়ে ইস্ত্রি করিয়ে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন।
দরজার পিছনে
আলমারি বা ওয়ার্ড্রোব গোছানো থাকলেও, পরা জামাকাপড় ছেড়ে রাখতে গেলেই, ঘর এলোমেলো হয়ে যায়। দেখতে খারাপ লাগে। দরজার পিছনে হুক রাখতে পারেন। যেখানে পরা জামাকাপড় খুলে রাখলেও, আড়ালেই চলে যাবে। আরও ভাল হয়, দরজার পিছনে যদি খোলা ওয়ার্ড্রোব করে নিতে পারেন। ছোট্ট জায়গা সুন্দর ভাবে ব্যবহার করা যাবে। পরা জামাকাপড় সেখানে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন।
ভিজে তোয়ালে
অনেকেরই স্বভাব থাকে স্নান সেরে আসার পর ভিজে তোয়ালে খাটের উপর ছুড়ে ফেলা, নয়তো এখানে-ওখানে পুঁটলি পাকিয়ে ফেলে দেওয়া। ঘর নোংরা দেখানোর এটা অন্যতম কারণ। স্নানের পর তোয়ালে আধভেজা না রেখে চেষ্টা করুন তা জলকাচা করে রোদে মেলে দেওয়ার। যদি তাড়াহুড়োয় সেটা সম্ভব না হয়, তবে ওয়াশিং মেশিনের মধ্যেই তা ভরে রাখতে পারেন। তবে দিনের শেষে বা দু’দিন অন্তর কাচার জন্য রাখা জামাকাপড়, গামছা, তোয়ালে কেচে শুকিয়ে নিতে হবে।
জরুরি কাগজ
অফিস থেকে জরুরি কাগজপত্র বা ফাইল এনে ফের বেরোনোর সময় তা হয়তো পাচ্ছেন না। এর কারণ কিন্তু অগোছালো স্বভাব হতে পারে। কাজের জন্য টেবিল থাকলে সেখানে জরুরি জিনিসটি গুছিয়ে রাখতে পারেন। ভাল হয়, যদি সেটা টেবিলের ড্রয়ারে রাখেন। সেই জায়গাটি নির্দিষ্ট করে রাখতে পারেন জরুরি কাগজ রাখার জন্য। তা হলে দরকারের সময় জিনিস খুঁজতে হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy