পাতিলেবু গাছ বসান বাড়িতেই। শুধু জানতে হবে পরিচর্যার উপায়। ছবি:ফ্রিপিক।
গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা কিংবা শীত, পাতিলেবু সারা বছরই খাওয়া চলে। ভিটামিন সি-তে ভরপুর লেবুর রস ভাত, ডালের সঙ্গে একটু মিশিয়ে নিলেই, অরুচির মুখে রুচি ফেরে। মকটেল থেকে শরবত, সামান্য একটু পাতিলেবুর রসে বদলে যায় স্বাদ। বাজার থেকে তা কিনে খাওয়াই যায়, তবে যদি নিজের একফালি বাগানেই লেবু গাছ বসানো যায়, ‘ফল’ পাওয়া যাবে হাতেনাতে।
টব ও মাটি: লেবুগাছের জন্য ১২-১৫ ই়ঞ্চির টব ঠিকঠাক। গাছ বেশি বড় হয়ে গেলে আরও টবে স্থানান্তরিত করতে পারেন। শুরুতেই টবের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থায় গুরুত্ব দেওয়া দরকার। পাতিলেবু গাছের গোড়ায় জল জমলে শিকড় পচে গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মাটি তৈরির সময় এ ব্যাপারটি মাথায় রাখা জরুরি। লেবুর চারা বসানোর জন্য ৫০ শতাংশ দোআঁশ বা বাগানের যে কোনও মাটির সঙ্গে ২০ শতাংশ ভার্মি কম্পোস্ট, ২০ শতাংশ কোকোপিট এবং ১০ শতাংশ বালি দিতে হবে। বালি দিলে মাটিতে জল জমতে পারবে না, শিকড়ও ঠিকঠাক মতো বাড়তে পারবে।
জল: জলের মাপ বোঝা খুব জরুরি। অতিরিক্ত জল যেমন গাছের পক্ষে ক্ষতিকর তেমন জলের পরিমাণ কম হলেও গাছ শুকিয়ে যাবে। টবের মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে এলে তাতে জল দিন। মরসুম ভেদে জলের পরিমাণও কম-বেশি হবে।
সূর্যালোক: পাতিলেবু গাছের বেড়ে ওঠার জন্য সূর্যালোক দরকার। তবে গাছের চারা চড়া রোদে রাখলে চলবে না। চারা অবস্থায় গাছটি এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে সরাসরি রোদ না পড়লেও তাপটুকু আসবে। গাছ একটু শক্তপোক্ত হলেই টব রাখুন এমন জায়গায় যেখানে দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা সূর্যের আলো পড়বে।
পরিচর্যা: এক মাস অন্তর গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিলে জল, হাওয়া ভাল খেলবে। গাছের বৃদ্ধির জন্য এটি জরুরি। গাছে ফুল এলে সারের প্রয়োজন হবে। একমাস বা দেড় মাস অন্তর গাছে জৈব সার প্রয়োগ করতে পারেন। ব্যবহৃত চা-পাতা, কলার খোসা সার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। কলার খোসা ৩-৪ দিন জলে ভিজিয়ে সেই জলটি ব্যবহার গাছে দিন। তবে সার প্রয়োগের আগে মাটি খুঁড়ে নেওয়া বা আলগা করে দেওয়া আবশ্যক।
এ ভাবে গাছটিকে বেড়ে উঠতে দিলে, পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকলে পাতিলেবু ফলবে গাছ ভরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy