শীতে কী ভাবে ঘর রাখবেন আরামদায়ক? ছবি:শাটারস্টক।
শীতের মরসুম উপভোগ্য অনেকের কাছেই। গরমের হলকা নেই, ঘাম নেই, সহজে ক্লান্তি আসে না। আবার শীতের দিনে মিঠেকড়া রোদে পিঠ দিয়ে দিব্যি আয়েস করা যায়। তবে এই মরসুমে খানিক কষ্টে থাকেন বয়স্কেরা। অল্প শীতেই কাবু হয়ে যান তাঁরা। চট করে তাঁদের ঠান্ডাও লেগে যায়। এমন মরসুমে কী ভাবে ঘরদোর রাখবেন আরামদায়ক?
বিছানার চাদর: শীতে শুতে যাওয়ার সময় বিছানায় পিঠ ছোঁয়ালে মনে হয় কে যেন জল ঢেলে দিয়েছে। বিশেষত, ঘরে রোদ না ঢুকলে, দক্ষিণ দিক বদ্ধ থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে। প্রথমেই বিছানার চাদরটি বদলে ফেলুন। শীতের দিনে আরামদায়ক হবে ফ্লিসের বা উল মিশ্রিত পাতলা কম্বলের মতো চাদর। এ ছাড়াও এখন বিভিন্ন ধরনের বিছানার চাদর মেলে, যা শীতে আরামদায়ক। তেমনই কোনও জিনিস বেছে নিন।
রাগ এবং গালিচা: খাটের সামনে, সোফার সামনে রাগ পেতে রাখুন। রাগ হল ছোট আকারের গালিচা। ফলে মেঝের ঠান্ডা পায়ে লাগবে না। শুধু বয়স্ক নয়, যে কেউ আরাম করে বসতে পারবেন। বসার ঘরে, শোয়ার ঘরে গালিচা পেতে রাখতে পারেন। এতে যেমন ঘরের শোভা বাড়বে, তেমনই শীতে ঘরে চলাফেরাও আরামদায়ক হয়ে উঠবে।
সোফায় রাখুন কুশন এবং কম্বল: সোফায় কুশনের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারেন। আর সেখানেই রাখতে পারেন পাতলা কম্বল। সোফায় বসে পায়ের উপর কম্বল টেনে দিলেই শীত সে ভাবে টের পাওয়া যাবে না। বরং কুশনে পিঠ দিয়ে কম্বলের ওমে গরম চা খেলে শরীর ঝরঝরে হয়ে উঠবে।
পর্দা: শীতের মরসুমে ভারী পর্দা ব্যবহার করুন। হালকা রঙের পর্দায় ঘর তুলনামূলক ভাবে উজ্জ্বল দেখা দেখাবে। কাচের জানলা হলে বা শীত বেশি পড়লে তা মোটা চাদর বা কাপড় দিয়ে ঢেকে তার উপর পর্দা দিয়ে দিতে পারেন। এতে ঘর গরম থাকবে।
আলো: টেবিলে, আনাচকানাচে ছোটখাটো সুন্দর আলো রাখতে পারেন। ঘর সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন সুদৃশ্য মোমবাতিও। টেবিলে সুগন্ধি মোম জ্বালিয়ে রাখলে ঠান্ডার সময় তাতে হাতও গরম করে নেওয়া যাবে। তা ছাড়া, আলোর সঠিক ব্যবহারে ঘর দৃশ্যতই সুন্দর লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy