রান্নার গ্যাসের খরচ বাঁচানোর ৫ টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
সব্জি হোক কিংবা মাছ-মাংস, চাল-ডাল হোক কিংবা মশলা— হেঁশেলের প্রতিটি জিনিসের দামই দিন দিন বেড়ে চলেছে। খরচের খাতায় খাওয়াদাওয়ার খরচ বাবদ যেই টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে মাসের মাঝেই সেই অর্থ শেষ হয়ে যাচ্ছে চোখের নিমেষে। এর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। হেঁশেলের খরচ কমাতে হলে সবার আগে চেষ্টা করতে হবে যাতে গ্যাসের খরচ যথাসম্ভব কম হয়। ঘরোয়া কিছু টোটকা জানা থাকলে অনেকটাই সাশ্রয় করা যায় রান্নার গ্যাস। রইল তেমনই ৫ টোটকা।
১. রান্নার সময় আগুনের আঁচ মধ্যম রাখুন। অতিরিক্ত আঁচে রান্না করতে গেলে আগুন পাত্রের তল ছাড়িয়ে আশপাশে দিয়ে বার হয়ে যায়। ফলে অপচয় হয় গ্যাসের। রান্না এগোয় নামমাত্র।
২. গ্যাসের বার্নার সাফ করুন নিয়মিত। রান্নার গ্যাসের আগুনের রং নীল হওয়াই বাঞ্চনীয়। লাল, হলুদ কিংবা কমলা রঙের আগুন দেখলে বুঝবেন গ্যাসের দহন যথাযথ ভাবে হচ্ছে না। বার্নার ময়লা থাকলে এমন হয়। ঈষদুষ্ণ গরম জলে তরল সাবান মিশিয়ে তাতে ন্যাকড়া ভিজিয়ে ঘষতে পারেন বার্নার।
৩. রান্নার বাসনের তলা যেন পরিচ্ছন্ন হয়। হাঁড়ি-কড়াইয়ের তলায় কালি থাকলে তাপের অপচয় হয়, গ্যাসও বেশি খরচ হয়। পাশাপাশি, খেয়াল রাখবেন যেন গ্যাসে বসানো বাসন শুকনো হয়। বাসনে জল লেগে থাকলেও গ্যাসের অপচয় হয়।
চেষ্টা করুন পাত্র ঢাকা দিয়ে রান্না করতে। ছবি: সংগৃহীত।
৪. চেষ্টা করুন পাত্র ঢাকা দিয়ে রান্না করতে। যে কোনও পাত্রের ক্ষেত্রেই ঢাকা দিয়ে রান্না করলে অনেকটা গ্যাস বাঁচে। পাশাপাশি, সাধারণ বাসনের পরিবর্তে যত বেশি সম্ভব প্রেশার কুকার ব্যবহার করুন। গ্যাসের অপচয় কম হবে। গ্যাস অপচয় কমাতে প্রেশার কুকারের থেকে ভাল দ্বিতীয়টি নেই।
৫. রান্না করার আগেই তৈরি করে নিন সব উপকরণ। মশলা তৈরি থেকে সব্জি কাটা, সবই যদি আগে থেকে করা থাকে, তবে সময় ও গ্যাস দুয়েরই সঞ্চয় হয়। পাশাপাশি, রান্নায় কতটুকু জল দেবেন, তা-ও মেপে রাখবার চেষ্টা করুন আগে থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy