অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছ কিনুন বুঝেশুনে। ছবি: শাটারস্টক।
রঙিন মাছে ভরা অ্যাকোয়ারিয়াম বাড়িতে রাখতে পছন্দ করেন অনেকেই। অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য নতুন নতুন মাছ কিনে আনা অনেকের কাছেই নেশার মতো। তবে মাছ ভাল লেগেছে বললে কিনে নিলেই হল না। কোন মাছের জন্য কতটা জায়গা চাই, কোন মাছ কেমন আবহাওয়ায় ভাল থাকে কিংবা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ একসঙ্গে থাকতে পারে কি না, সে সব সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে মুশকিল। বাড়িতে নতুন অ্যাকোয়ারিয়াম কিনেছেন? অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য মাছ কেনার আগে আরও কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
১) বাড়িতে রাখার জন্য সাধারণত গাপ্পি, গোরামি, গোল্ড ফিশ, কিসিং ফিশ, জেব্রা বা অ্যা়ঞ্জেলের মতো মাছ বেছে নেন অনেকে। তবে ইদানীং গভীর সমুদ্রের তলদেশে পাওয়া যায় এমন নানা ধরনের ‘ট্রপিকাল’ মাছও বিক্রি হচ্ছে হাটে। সে সব কেনার প্রবণতাও বেড়েছে। তবে কেনার আগে মাথায় রাখতে হবে, সব প্রজাতির মাছ সব রকম আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। আপনার অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে যতই ফিল্টার, এয়ার পাম্প থাকুক না কেন, মাছেদের সমস্যা হতেই পারে। তাই কেনার আগে ভাল করে সে সম্পর্কে যাচাই করে নিতে হবে।
২) মানুষের মতো মাছেদেরও খাবারের ব্যাপারে নানা রকম পছন্দ-অপছন্দ আছে। কাজেই আপনি অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য যে মাছ কিনবেন, তাদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে অবগত থাকা ভীষণ জরুরি। সঠিক খাবার না পেলে মাছেরা সময়ের আগেই মরে যাবে। শুধু তা-ই নয়, কখন কখন খাবার দেবেন, সেটাও জানা জরুরি।
৩) টেট্রাস, বার্বস এবং ড্যানিওসের মতো মাছগুলি ৫ বছর বাঁচতে পারে। মাঝারি আকারের মাছ, যেমন অ্যাঞ্জেলফিশ এবং গোল্ডফিশ প্রায়শই ১০ থেকে ১৫ বছর বাঁচে। বড় সিচলিড, ক্লাউন লোচ এবং অনেক প্লেকোস্টোমাস এবং ক্যাটফিশ প্রজাতির মাছ ২০ বছর বা তার বেশিও বাঁচতে পারে। মাছ কেনার আগে তার আয়ু কত তা জেনে নেওয়া জরুরি। কারণ, একটি মাছের মৃত্যু হলে তার প্রভাব কিন্তু অন্য মাছেদের উপরেও পড়ে। অ্যাকোরিয়ামে একই প্রজাতির মাছ রাখা ভাল। শান্ত প্রজাতির ‘গোল্ড ফিশ’কে রাগী ‘ফাইটার’-এর সঙ্গে না রাখাই উচিত।
৪) অ্যাকোয়ারিয়ামের জলের পিএইচের মাত্রা কেমন, তা জানা জরুরি। কলের জল ভরে দিলেই চলবে না। জলে অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট কিংবা নাইট্রাইট জাতীয় যৌগগুলির মাত্রা কেমন, সে সব মেপে দেখে নেওয়া জরুরি। আবার সব প্রজাতির মাছ একই রকম জলে বাস করতে পারে না। একটি অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে তো প্রজাতি অনুযায়ী আলাদা করে জলের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাই কোন প্রজাতির মাছ কেমন জলে থাকতে পারে, তা জেনে নেওয়া জরুরি।
৫) অ্যাকোয়ারিয়ামের আকার এবং আয়তন অনুযায়ী সর্বাধিক কতগুলি মাছ পাশাপাশি রাখা যায়, তা-ও জেনে রাখা প্রয়োজন। মাছের সংখ্যা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy