— প্রতীকী চিত্র।
সর্দি-কাশি সারাতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে অনেকেই মধু দিয়ে তুলসী পাতার রস খেয়ে থাকেন। তাই বাড়িতে তুলসী গাছ রাখতেন। কিন্তু বাড়িতে যে দিন থেকে পোষ্যের আবির্ভাব হয়েছে, সে দিন থেকে বারান্দার তুলসী গাছ উঠে গিয়েছে হেঁশেলের জানালায়। কারণ, সেই পোষ্য কুকুরটি গিয়ে হয়তো পাতা ছিঁড়ে খেয়ে ফেলছে। অথবা মূত্র বিসর্জন করে আসছে। এমন সমস্যা যে হতে পারে সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন বন্ধুরা। মাটিতে এমন গাছ রাখতে বারণ করেছিলেন, যা থেকে পোষ্যের অসুবিধা হয়। তবে গাছপালা নিয়ে চর্চা করেন যাঁরা, তাঁরা বলছেন এমন কিছু গাছ রয়েছে যা পোষ্যদের জন্যেও নিরাপদ। আবার অন্দরসজ্জার জন্যেও আদর্শ।
১) বস্টন ফার্ন
ঘরে রাখার বিভিন্ন রকম গাছের মধ্যে বস্টন ফার্ন বেশ জনপ্রিয়। রান্নাঘরে জানালার পাশে, বারান্দার ধারে ঘন এই ফার্নের শোভা চোখেরও আরাম দেয়। শুধু তা-ই নয়, বাড়িতে যদি পোষ্য থাকে, তাদের জন্যেও এই গাছ নিরাপদ। ফার্নজাতীয় গাছ সাধারণত উঁচুতে ঝোলানো হয়। তাই পোষ্যদের নাগালে আসার কোনও সম্ভাবনাও থাকে না।
২) মানি প্লান্ট
ঘর সাজানোর জন্যে যে সব গাছের খোঁজ পড়ে তার মধ্যে মানি প্ল্যান্ট অন্যতম। এই গাছও উঁচুতেই রাখা হয়। কারণ, টব থেকে এই গাছের ডালপালা নীচের দিকে ঝুলতে থাকে। ফলে পোষ্য কুকুর বা বিড়াল এই গাছের নাগাল পায় না।
৩) আফ্রিকান ভায়োলেট
পুদিনা গোত্রের এই গাছে বেগুনি রঙের ছোট ছোট ফুল হয়। অন্দরের শোভা বাড়িয়ে তুলতে অনেকেই আফ্রিকান ভায়োলেট ঘরে রাখেন। যে হেতু এই গাছের ফুলে তেমন কোনও গন্ধ নেই, তাই পোষ্যদের নাক-মুখের কাছে থাকলেও খুব একটা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
৪) বেবিস টিয়ার
জলের বিন্দুর মতো ছোট ছোট পাতা হয় এই গাছে। শিশুরা কাঁদলে যেমন অঝোরে চোখ থেকে জল পড়তে থাকে, তেমন ভাবেই গাছের ডালপালা নেমে আসে টব থেকে। এই গাছও বারান্দার উঁচু জায়গা থেকে ঝোলাতে হয়। তাই পোষ্যরা এই গাছের ধারেকাছে আসতে পারে না।
৫) স্পাইডার প্ল্যান্ট
ঘরের ভিতরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতে অনেকেই স্পাইডার প্লান্ট রাখেন। এই গাছ যে উঁচুতে ঝুলিয়ে পোষ্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে এমনটা নয়। আবার ঘরের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে তুলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy