ছবি: প্রতীকী
সপ্তাহের প্রথম দিন, তা-ও আবার বৃষ্টিভেজা সকাল। শনি-রবির ছুটি কাটিয়ে কাটিয়ে আবার পুরনো রুটিনে ফেরা। এমন দিনে কাজে মন বসানোই মুশকিল। অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিজের মনকে বুঝিয়ে অনেক কষ্টে অফিস গেলেন। কিন্তু সেই এক টেবিল চেয়ারে বসে টানা ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করতে হবে ভাবলেই গায়ে জ্বর আসার মতো পরিস্থিতি হয় অনেকেরই। তবে জরুরি জিনিস ছাড়াও কাজের টেবিলটি কিন্তু সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা যেতে পারে। তা হলে প্রতি দিন সকালে কাজে বসতে উৎসাহ পাওয়া যায়। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার, কাগজ-কলম ছাড়াও টেবিল সাজানো যেতে পারে গাছ দিয়ে। সুন্দর, সতেজ গাছের দিকে তাকালে মন ভাল হবে, আবার কাজে মনোযোগও দিতে পারবেন।
অফিসে কাজের টেবিলে কী ধরনের গাছ রাখা যেতে পারে?
মানি প্লান্ট
এই গাছ কাজের টেবিলে রাখলে মনের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তা ছাড়া জানলা-দরজা বন্ধ করা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের দূষিত বায়ু পরিশোধন করতেও সাহায্য করে। খুব একটা আলোর প্রয়োজন হয় না। সামান্য জলেই এই গাছ দিব্যি ভাল থাকে।
জ়িজ়ি প্লান্ট
এই জাতীয় গাছ যে কোনও আবহাওয়ায় বেড়ে উঠতে পারে। খুব একটা যত্ন করতে হয় না বলে অনেকেই এই ধরনের গাছ ঘরে বা অফিসের জায়গায় রাখতে পছন্দ করেন। সূর্যের আলো না পেলেও এই ধরনের গাছ, নিজেদের খাবার নিজেরাই তৈরি করে নিতে পারে।
পিস লিলি
শুধু পাতা সর্বস্ব গাছ নয়, অনেকেরই গাছের ফুল দেখলে সকালে মন ভাল হয়ে যায়। এই পিস লিলি তেমনই একটি গাছ। বড় বড় সবুজ পাতার মাঝে সাদা রঙের সুন্দর একটি ফুল, দেখলে মন অবশ্যই ভাল হবে। পিস লিলিকেও খুব একটা যত্ন করতে হয় না। কম আলোতে, অল্প জলে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে পারে।
স্নেক প্লান্ট
এই গাছের কোনও কাণ্ড নেই। গাছের শুরু থেকে শেষ, পুরোটাই পাতা। বাতাসের দূষিত পদার্থ শোষণ করে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলাই এই ধরনের গাছ রাখার উদ্দেশ্য।
স্টার ক্যাকটাস
তারার মতো দেখতে কাঁটাজাতীয় এই গাছটিকে কিন্তু দিনভর সূর্যের আলোতে রাখতে হয়। বেশি জল দেওয়া একেবারেই চলে না। তাই অফিসের টেবিলে পর্যাপ্ত আলো আসে এমন জায়গা না থাকলে এই ধরনের গাছ কিনে ফেলবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy