বাড়িতে রং বানানোর সহজ উপায় ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই দোলে রং খেলতে চাইলেও পিছিয়ে আসেন রঙের মধ্যে মিশে থাকা বিভিন্ন কৃত্রিম রাসায়নিক পদার্থের ভয়ে। এই ধরনের রাসায়নিক পদার্থ এক দিকে যেমন ক্ষতি করে ত্বকের, তেমনই অন্য দিকে এক বার মাখলে সহজে উঠতে চায় না ত্বক থেকে। কিন্তু জানেন কি, অত্যন্ত সহজে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলা যায় হরেক রঙের ভেষজ আবির? দেখে নিন কী ভাবে বাড়িতেই বানাবেন এমন সব রং যাতে অমলিন থাকবে দোলের আমেজ, আর সুরক্ষিত থাকবে ত্বকও।
১। লাল
লাল রং বানানোর সবচেয়ে সহজ উপায় জবা ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে, গুঁড়ো করে ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া। হলুদ গুঁড়োর উপর পাতিলেবুর রস ছড়িয়ে নিলেও মিলবে লাল রং। তরল রং চাইলে কৃষ্ণচূড়া ফুল জলে ফুটিয়ে নিতে হবে বা রক্তচন্দন জলে মিশিয়ে নিতে হবে।
২। হলুদ
হলুদ আর বেসন মজুত থাকে সব বাঙালি রান্নাঘরেই। চার ভাগ বেসন ও এক ভাগ হলুদ ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে রং। বেসন না থাকলে চালের গুঁড়োর সঙ্গেও মেশানো যেতে পারে হলুদ। অমলতাস কিংবা গাঁদা ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিলেও মিলবে হলুদ রং।
৩। গোলাপি
যে ভাবে হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে পাতি লেবুর রস মিশিয়ে লাল রং তৈরি করা হয়েছিল, সেই একই পদ্ধতিতে বানানো যেতে পারে গোলাপি রং। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পাতিলেবুর রসের পরিমাণ কিছুটা কম দিতে হবে। এ ছাড়া কয়েক টুকরো বিট সারা রাত গরম জলে ভিজিয়ে রাখলেও সকালবেলা মিলতে পারে গোলাপি রং।
৪। সবুজ
মেহেন্দি ও ময়দা সমপরিমাণে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সবুজ রং। এ ভাবে তৈরি করা সবুজ রঙের একটি বিশেষ মজার দিকও রয়েছে, প্রথমে সবুজ থাকলেও এই রং পরে বাদামি রঙে বদলে যায়। কৃষ্ণচূড়া গাছের পাতা শুকিয়ে সেই পাতা গুঁড়ো করেও সবুজ রং বানানো যেতে পারে।
৫। নীল
নীল রং কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে মেলা বেশ কঠিন। কিন্তু অপরাজিতা বা নীলকন্ঠ ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিলে মিলতে পারে এই রং। সারা রাত গরম জলে এই ফুল ভিজিয়ে রাখলে পেতে পারেন তরল রং। তবে মনে রাখবেন, বাড়িতে রং তৈরির সময় ফুড কালার মেশানো একেবারেই ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy