সাধারণ মানুষ হোক বা বিখ্যাত কোনও ব্যাক্তি— বিমানে ওঠার নিয়ম সকলের জন্য একই থাকে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
টলিউ়়ডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হওয়া সত্ত্বেও দেরি করে পৌঁছনোর কারণে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। তাই সংশ্লিষ্ট সেই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে নেটমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী। বোর্ডিংয়ের সময় ভোর ৪.৫৫ মিনিট। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত পৌঁছেছেন ৫.১২ মিনিটে। তারপর দীর্ঘ ৪০ মিনিটি ধরে অনুরোধ। তত ক্ষণে অভিনেত্রীকে না নিয়েই পাড়ি দিয়েছে আমদাবাদগামী বিমান। বিমান কর্তৃপক্ষের ‘গাফিলতি’তেই শুটিংয়ে পৌঁছতে পারলেন না বলে অভিযোগ অভিনেত্রীর।
সাধারণ মানুষ হোক বা বিখ্যাত কোনও ব্যাক্তি— নিয়ম সকলের জন্য এক থাকটাই স্বাভাবিক বাণিজ্যিক বিমানের ক্ষেত্রে। বাসে-ট্রামে ওঠার সঙ্গে বিমানে ওঠার অনেক তফাত আছে। তাই বিমানে কোথাও যাওয়ার থাকলে বেশি সচেতন এবং সতর্ক থাকা জরুরি। তার জন্য বিমানে ওঠার প্রাথমিক নিয়মাবলীতে এক বার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
১) বিমান বন্দরে উদ্দেশ্যে বেরোনোর আগে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট, ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনও নথি, ভিসা সঙ্গে নিয়েছেন কি না দেখে নেওয়া প্রয়োজন। দেশের মধ্যে কোথাও গেলে এত নথির দরকার পড়ে না। তবে পরিচয় পত্র ছাড়া বিমানবমন্দরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যাত্রার টিকিং বা ই-বোর্ডিং পাসের প্রিন্ট আউট বা সফ্ট কপি দেখিয়ে প্রবেশ মিলবে। দেশের অভ্যন্তরে কোথাও গেলে নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১ ঘণ্টা আগে বিমান বন্দরে পৌঁছতে হবে। বেশির ভাগ সংস্থা অন্তত ২ ঘণ্টা আগে পৌঁছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কারণ চেক ইন করতে বা নিরপত্তা যাচাইয়ের ধাপ পেরোতে অনেক লম্বা লাইন পড়তে পারে।
২) বিমান বন্দরে ঢোকার পর প্রথমেই চেক ইন করতে হবে। টার্মিনালের মনিটর ও বোর্ডের দিকে খেয়াল রাখুন। সেখানে নাম এলে আপনাকে টিকিট, পরিচয়পত্র, ভ্রমণ সংক্রাম্ত কাগজপত্র দেখাতে হবে। দু’ ভাবে ব্যাগপত্র নিয়ে যাওয়া যায়। বড় মাল বা চেক ইন লাগেজ এখানে দিয়ে দিতে হয়। মাথাপিচু কতটা ওজনের মাল দেওয়া যাবে তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিমানসংস্থার নিয়ম অনুযায়ী। সাধারণত ১৫ বা ২৫ কেজি অবধি মাল বিনামূল্যে নেওয়া যায়। তার বেশি বলে কেজি পিছু বাড়তি টাকা দিতে হয় এই কাউন্টারেই। দ্বিতীয় ধরনের মালকে বলা হয় কেবিন লাগেজ বা হ্যান্ড লাগেজ। তা নিজের সঙ্গে নিয়ে বিমানে ওঠা যায়। চেক ইন হয়ে গেলে বোর্ডিং পাস দেওয়া হবে।
৩) চেক ইন হয়ে গেলে সেখান থেকে যেতে হবে নিরাপত্তা যাচাই বা সিক্যুরিটি চেক-এর জন্য। এখানে সব কাগজপত্র, বিমানের টিকিট, বোর্ডিং পাস ফের আর এক বার মিলিয়ে নেওয়া হবে। নারী-পুরুষ আলাদা করে দেওয়া হয়। নিরাপত্তারক্ষী ‘বডি চেক’ করেন। এখানে স্ক্যান করতে যাওয়ার আগে হ্যান্ড লাগেজ স্ক্যান করার জন্য ট্রে-তে রাখতে হয়। কোন ধরনের জিনিস হ্যান্ড লাগেজে নেওয়া যাবে তার একটি তালিকা টিকিট কাটার সময়ই পাওয়া যায়। তার বাইরে কিছু স্ক্যানে ধরা পড়লেই সেই জিনিস বার করে দিতে হয় এখানেই। স্ক্যানে দেওয়ার আগে যাবতীয় বৈদ্যুতিন জিনিস যেমন ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইল ফোন, চার্জার, মাউজ— সব ব্যাগ থেকে বার করে আলাদা রাখতে হয়। চামড়ার ওয়ালেট, বেল্টও ট্রে-তে রেখে তবেই স্ক্যান করতে দিতে হয়।
৪) নিরপত্তা যাচাই হয়ে গেলে বোর্ডিং পাস দেখে নম্বর মিলিয়ে বোর্ডিং গেটে যেতে হয়। বোর্ডিং শুরু হলে ফের এক বার বোর্ডিং প্যাস যাচাই করে ষ্ট্যাম্প দেওয়া হবে। বোর্ডিং গেট থেকে বিমানে পৌঁছনোর জন্য এয়ার বাস থাকে। কিংবা লম্বা টানেলের মতো সিঁড়ি অনুসরণ করেও যাওয়া যেতে পারে। বিমান ওড়ার ৪৫ মিনিট আগে বোর্ডিং গেট বন্ধ হয়ে যায়।
৫) বোর্ডিং শেষ করে বিমানে ওঠার পর আবহাওয়া খারাপ থাকলে বা কুয়াশা থাকলে বা অন্য কোনও কারণে বিমান ছাড়তে দেরি হতে পারে। কিন্তু যাত্রীদের সব সময় নির্ধারিত সময়েই বিমানে উঠতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে আর কোনও যাত্রীকে বিমানে উঠতে দেওয়া নিয়মবিরুদ্ধ। বিমানের গেটও বন্ধ হয়ে যায় সময় ধরেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy