রায়তা নিছক খাওয়ার পাতের সঙ্গী নয়। গ্রীষ্মে অন্তত এক বেলা রায়তা খেতে পারলেও অনেক উপকার। শরীরকে ঠান্ডা রাখে, জলের ঘাটতিও মেটায়। প্রোবায়োটিকের গুণে ভরপুর দইয়ের এই পদ যদি পাতে থাকে, তাতে তৃপ্তিও বাড়ে। এই গ্রীষ্মে তাই ৬ রকমের রায়তার সহজ রেসিপি জেনে নিতে পারেন। হেঁশেলে যখন যা থাকবে, তা দিয়েই চটজলদি তৈরি হয়ে যাবে আরামদায়ক পদগুলি। আর এই ৬ রায়তায় খুব বেশি উপকরণের ঝক্কিও নেই।
শসার রায়তা: বঁটি, ছুরি অথবা গ্রেটারের সাহায্যে মিহি করে শসা কেটে নিতে হবে। তার পর ঠান্ডা টক দইয়ে জিরেগুঁড়ো এবং নুন মিশিয়ে নিন। এ বারে শসার কুচিগুলি তাতে ঢেলে দিন। শেষে পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
টম্যাটো ও পেঁয়াজের রায়তা: পোলাও বা পরোটার সঙ্গে এই রায়তার যুগলবন্দির কোনও তুলনা হয় না। টম্যাটো এবং পেঁয়াজ কুচি, বিটনুন, ধনেপাতা কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি মিশিয়ে নিতে হবে ঠান্ডা দইয়ের সঙ্গে।

গ্রীষ্মে শরীরকে ঠান্ডা রেখে, জলের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে রায়তা। ছবি: সংগৃহীত।
আম পুদিনার রায়তা: এখন তো কাঁচা আমেরই সময়। টকঝাল স্বাদের এই রায়তা গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে। ঠান্ডা টক দইয়ের মধ্যে কাঁচা আমের কুচি, পুদিনা পাতার কুচি, জিরেগুঁড়ো আর নুন মিশিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
ফলের রায়তা: খাবারের শেষপাতে মিষ্টির বদলে ফলের রায়তা খাওয়ার অভ্যাস করে দেখুন। এতে অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে পৌঁছোবে না, আবার শেষপাতে মিষ্টির চাহিদাও মিটবে। ঘরে যা যা ফল এই সময়ে থাকবে, সবই প্রায় দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। আম হোক বা আনারস, তরমুজ হোক বা বেদানা-কলা। শেষে এক চিমটে চাট মশলা অথবা মধু দিতে পারলে মুখরোচক হয়ে উঠবে ফলের রায়তা।
আরও পড়ুন:
গাজর ও বিটের রায়তা: গ্রেটারের সাহায্যে গাজর এবং বিট মিহি করে কেটে নিন। ঠান্ডা টক দইয়ের মধ্যে গাজর ও বিটের ঝুরি মিশিয়ে শেষে নুন এবং জিরেগুঁড়ো ভাল করে নেড়ে নিন। পরিবেশন করুন খাবারের পাতে।
লাউয়ের রায়তা: লাউ শুনে অনেকেই নাক সিঁটকান বটে, কিন্তু এই সব্জির রায়তা একাধারে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। লাউ ঝুরি ঝুরি করে কেটে নেওয়ার পর হালকা সেদ্ধ করে নিতে হবে। তার পর ফ্রিজে রাখা টক দইয়ের মধ্যে লাউঝুরি, নুন, জিরেগুঁড়ো এবং গোলমরিচ মিশিয়ে পরিবেশন করুন।