প্রাতরাশ বাদ দিলে বাদ পড়বে জরুরি পুষ্টিগুণও। ছবি: সংগৃহিত
ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেল বলে প্রাতরাশ বাদ! কিংবা ধরুন ভাবছেন দিনটা শুরু করবেন, দুপুরের খাওয়া থেকেই! কী ভাবছেন! ওজন কমবে? একদম ভুল ভাবনা। বরং আপনার শরীর থেকে কত পুষ্টিকর উপাদান বাদ চলে যাচ্ছে জানেন? গবেষণা বলছে প্রাপ্তবয়স্কদের অনেকেই সকালের এই প্রাতরাশ তাঁদের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে থাকেন। কিন্তু মনে রাখবেন, এতে শরীরেই ক্ষতি হচ্ছে।
কী ধরনের পুষ্টি বাদ পড়ছে?
প্রাতরাশে সাধারণত দুধ, ফল, সিরিয়াল জাতীয় খাবার তো থাকেই। তাই এগুলো বাদ দিলে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার, অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি বাদ পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। আসলে এই ধরনের খাবার সকালে প্রাতরাশের সময় একবারই খাওয়ার সুবিধে থাকে। তাই প্রাতরাশ বাদ দিলে সারাদিনে এই পুষ্টিগুলো খাবারের তালিকার বাইরে চলে যায়, যেটা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। সম্প্রতি ওহায়ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই সমীক্ষা।
কী অসুবিধা হতে পারে?
শরীরে আবশ্যিক খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত যে সব উপাদান সেগুলো বাদ পড়ছে। এই তালিকায় থাকছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন ডি-এর মতো গুরুত্বপূ্র্ণ উপাদান। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে আয়রনও অতি গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে একাধিক শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আচরণগত ও একাগ্রতার সমস্যা তৈরি হচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্কেরা যাঁরা প্রাতরাশ খান না, তাদের খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার কম থাকে। সুতরাং শরীরে পুষ্টিগুণও কম পরিমাণে পৌঁছয়। এঁরা খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট, সুগার ও ফ্যাট বেশি পরিমাণে রাখেন এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান। যেহেতু প্রাতরাশ বাদ দেন, তাই দুপুরের খাবার, রাতের খাবার কিংবা সান্ধ্য খাবারের পরিমাণ তুলনায় বেশি হয়। সেগুলো খুব পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধও হয় না। সমীক্ষা বলছে, যাঁরা প্রাতরাশ বাদ দেন, তাঁদের শরীরে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ উপাদান যদি থাকে একটি, যাঁরা প্রাতরাশ খান তাঁদের শরীরে থাকে একাধিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ উপাদান। কাজেই আর যাই করুন, শরীর ভাল রাখতে প্রাতরাশ বাদ দেবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy