প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
করোনাকালে পৃথিবীর অর্থনীতি চাপের মুখে পড়েছে। কমেছে চাকরি। কমবেশি প্রত্যেকটি দেশই অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে।
তবু এরই মধ্যে কিছু কিছু দেশের মানুষের মনমেজাজ অন্যদের থেকে ভাল। তার কারণ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হতে পারে, হতে পারে রোগবালাই নিয়ে দুশ্চিন্তা না থাকা বা নাগরিকদের পরস্পরের প্রতি আস্থা। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান অবশ্য বেশ তলার দিকে। ১৪৯টি দেশের মধ্যে ১৩৯ নম্বরে। কিন্তু তালিকার একেবারে উপরের দিকে কোন দেশগুলি?
করোনাকালে সবচেয়ে খুশি কোন ১০টি দেশ। রইল তালিকা।
অস্ট্রিয়া: তালিকার ১০ নম্বরে এই দেশ। করোনাকালেও দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান খুব একটা পড়ে যায়নি। চুটিয়ে চলছে ওয়াইনের ব্যবসা।
নিউজিল্যান্ড: এই দেশটি সাফল্যের সঙ্গে করোনা সামলেছে। দেশের অভ্যন্তরে অতিমারির প্রভাব বিশেষ পড়েনি। জনগণের আয়ও বিশেষ কমেনি।
লুক্সেমবার্গ: ছোট্ট দেশ। বিশেষ ভিড় নেই। দেশের মানুষ মুক্তমনা। তার প্রমাণ এই দেশের প্রধানমন্ত্রী সমলিঙ্গে বিয়ে করেছেন। তা নিয়ে দেশে কোনও সমস্যাই হয়নি। করোনাকালে এই দেশের মানুষ সব মিলিয়ে ভালই আছেন।
সুইডেন: করোনার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে। কিন্তু দেশের মানুষের মনের আনন্দ কেড়ে নেয়নি সেই অবস্থা। সব মিলিয়ে সুইডেন তালিকার ৭ নম্বরে।
নরওয়ে: স্ক্যান্ডিনেভিয়ার আরও একটি দেশ। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই নরওয়ের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ফলে এই মন্দার বাজার খুব একটা প্রভাব ফেলেনি মানুষের মনে।
নেদারল্যান্ডস: গোটা দেশেই অপরাধের হার বেশ কম। করোনাকালে কিছুটা আর্থিক মন্দার মুখে পড়লেও অবস্থা বিশেষ খারাপ হয়নি। ফলে সেরা ১০-এর তালিকায় আরও কিছু উপরে উঠে গিয়েছে এই দেশ।
আইসল্যান্ড: এই দেশে এখনও অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় বেশি বই ছাপা হয়। আইসল্যান্ডের মানুষের পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসও অন্য যে কোনও দেশের নাগরিকদের তুলনায় বেশি। তাই করোনাকালেও খুশিতে ভাটা পড়েনি।
সুইৎজারল্যান্ড: এই দেশের মানুষের মন ভাল থাকার কারণ কী? অনেক সমীক্ষাই বলছে, পরিবেশের সঙ্গে মানুষের বন্ধন। কারণ যাই হোক না কেন, এই দেশ খুশির বিচার তালিকার তিন নম্বরে।
ডেনমার্ক: সপ্তাহে মাত্র ৩৩ ঘণ্টার কাজ। বিনামূল্য পড়াশোনা, চিকিৎসার সুযোগ। সব মিলিয়ে এই দেশের মানুষের ভাল থাকার কারণ নেহাত কম নয়। করোনাকালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর সেই কারণেই এই দেশ তালিকার ২ নম্বরে।
ফিনল্যান্ড: স্ক্যানডিনেভিয়ার এই দেশটিতে করোনা প্রভাব পড়েছে। কিন্তু সরকারের সক্রিয়তা এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতায় বাড়াবাড়ি অবস্থা হয়নি কখনও। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও তাই এখন বেশি স্থিতিশীল। সেই কারণেই তালিকার ১ নম্বরে এই দেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy