বাস্তবের ‘প্রেম’ এবং ‘পুনম’-এর কাহিনি একটু অন্য রকম। ছবি- প্রতীকী
এ যেন সেই শাহিদ কাপুর এবং অমৃতা রাও অভিনীত ‘বিবাহ’ ছবির পুনর্নির্মাণ। বিয়ের দিন দুর্ঘটনায় আগুনে দেহের অর্ধেকটা পুড়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি পুনমকে যে ভাবে বিয়ে করেন প্রেম, ঠিক সেই ভাবেই বরযাত্রী-সহ ছত্তীসগঢ়ের রশ্মীকে বিয়ে করে নজির গড়লেন রাজ। তবে বাস্তবের ‘প্রেম’ এবং ‘পুনম’-এর কাহিনি একটু অন্য রকম।
ছত্তীসগঢ়ের জাঁজগীর-চাঁপা জেলার বাসিন্দা রশ্মী ওরফে লক্ষ্মী এবং রাজ ওরফে বান্টির বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ। মূল অনুষ্ঠানের তোড়জোড়ও সারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিয়ের দু’দিন আগে হঠাৎ করে রশ্মীর পেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানা হয়। পরীক্ষা করে জানা যায়, হবু কনের ক্ষুদ্রান্ত্রে একটি ছিদ্র রয়েছে। সেখান থেকেই এই ব্যথার সূত্রপাত এবং পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, অস্ত্রোপচার না করে উপায় নেই।
রশ্মীর স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে পরিবারের সকলেই বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের পাঁচ দিন আগে এমন একটি সিদ্ধান্ত দুই পরিবারের জন্য বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই। কিন্তু হবু স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা দেখে এই সিদ্ধান্ত মেনেও নেয় বরপক্ষ। সেই মতো অস্ত্রেপচারও হয়। চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেন, রশ্মী বিপন্মুক্ত। তবে এখন বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে তাঁর।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। দুই পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল নয়। কষ্ট করেই বিয়ের আয়োজন করেছিল রশ্মী এবং রাজের পরিবার। তাই তাঁদের কথা চিন্তা করে বিয়ের দিন পিছোতে চাননি রাজ। বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে আসা, মন্ত্রপাঠ, মালাবদল থেকে বর-কনে বিদায়— সব কিছু মেনে রীতিমতো ঘটা করেই হাসপাতালে চার হাত এক হয় দু’জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy